‘নির্দলীয় সরকারের বিকল্প নেই’
প্রতিবেদক : দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্দলীয় সরকারের বিকল্প নেই। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায় করতে হবে।’
শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজার আগে এক সংক্তিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার সরকারের পেটুয়া বাহিনী আমাদের ২০ জন কর্মী-সমর্থককে হত্যা করেছে। শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে চলমান আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায় নিয়ে যেতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে, নিপীড়ন-নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো বিকল্প নেই। অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
মির্জা ফখরুল নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও তাদের শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রকে আজ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা বিরোধী দলের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।
গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, এমকে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম-মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান হাবীব, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।
১৮ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য শফিকুল ইসলাম মাসুদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটির্র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুত্ফর রহমান, লেবার পাটির্র চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী প্রমুখ।
–