নাসিক নির্বাচন কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না করপোরেশনে
নাসিক নির্বাচন
কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না করপোরেশনে
গতকাল সকালে ৫নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গণসংযোগে তৈমূরের সঙ্গে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ, বিএনপি’র নেতাকর্মীসহ অসংখ্য কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, জনগণ যেভাবে আমার পক্ষ হয়ে মাঠে নামছে, আর সিটি করপোরেশনের যে ব্যর্থতা, ট্যাক্সের বোঝা তাতে জনগণ এবার হাতি মার্কার প্রতি রায় দিবেন। কেন না, আমার চিন্তা এবারের সিটি করপোরেশন হবে জনমুখী, মানুষ সিটি করপোরেশনের পিছে ছুটবে না, সিটি করপোরেশন মহল্লায় মহল্লায় যাবে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তৈমূর বলেন, একটা কথা বারবার ভালো লাগে না।
আমি বসিনি, বিএনপি বসে গেছে ২০১১ সালে। এবার বিএনপি আমাকে বলতে পারবে না তুমি বসে যাও। কারণ আমার যে পদ ছিল তা নিয়ে গেছে তারা। এখন আর দল বলতে পারবে না। এখন আমি সম্পূর্ণ নাগরিকদের কন্ট্রোলে। জনগণ যেভাবে দলমত নির্বিশেষে নেমেছেন, জনগণ হাতির পক্ষে রায় দেবেন, আমার পক্ষে রায় দেবেন।
তিনি বলেন, সকলে আমাকে স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পারবেন কারণ এখন আমি দলীয় কোনো প্রার্থী না। যারা ধানের শীষে ভোট দিতো, তারা কেন নৌকায় ভোট দিবে? তারা আমাকেই ভোট দিবে। নাগরিকদের চাহিদার কারণেই তো আমার এই প্রার্থিতা। নাগরিকরা আমার জন্যা নেমেছেন, বিএনপি নেমেছে, সকল দল আমার জন্য নামছে। আমার আশেপাশে যাদের দেখছেন তারা সবাই বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
তিনি আরও বলেন, সরকারি দলের কিছু নেতার বক্তব্যে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা দেখা যায়। একজন নেতা বলে গিয়েছেন তৈমূরকে মাঠে নামতে দেয়া হবে না। এসব কথা আমি গায়ে মাখি না। তবে এ ধরনের কথাবার্তা উস্কানিমূলক। এ ধরনের কথাবার্তায় বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করা হয়।
তৈমূর বলেন, নির্বাচন কমিশন আমার শো-ডাউনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে মেনে নিয়েছি। কিন্তু আওয়ামী লীগের শো ডাউনকে নির্বাচন কমিশন বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি এবং কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি।