নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন সিআইডিকে তদন্ত থেকে বাদ দেয়ার আবেদন খারিজ
বৃহস্পতিবার দুপুরে আবেদন যথাযথ না হওয়ায় বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তা খারিজ করেন। বুধবার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেন।
আদেশে আদালত বলেছেন, ইনভেস্টিগেশনের জায়গায় ইনকোয়ারি হবে। এর ফলে সিআইডি ওই মামলার অনুসন্ধান করতে পারবে বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।
রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সকালে ওই আবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া আদালতের নির্দেশ অনুসারে বিবাদীদের কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে তুলে ধরেন তিনি। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আদালত আদেশ দেন।
নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে ৫ মে হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দেন।
এতে ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যদের কোনো গাফিলতি আছে কিনা, এটিসহ পুরো ঘটনা তদন্তে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি বিভাগীয় তদন্ত করতে র্যাবের মহাপরিচালক এবং গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) পাশাপাশি সিআইডিকে (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) মামলা তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটিসহ সবগুলো কমিটির অগ্রগতি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনগুলোও ওপর আজ বৃহস্পতিবার শুনানির কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।
এর পরদিন ২৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলামের স্ত্রী। কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান করে মামলায় আসামি করা হয় মোট ১২ জনকে।
৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জনের এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বস্তা বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।