নাইজেরিয়ায় বিক্ষোভে গুলি, নিহত ২০
নাইজেরিয়ায় বিক্ষোভে গুলি, নিহত ২০

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় পুলিশি বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে গুলি চালিয়ে ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটির বৃহত্তম শহর লাগোসে ওই বিক্ষোভ চলছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে জানিয়েছে, তিনি অন্তত ২০ জনের মৃতদেহ গুনেছেন। এছাড়া আরও কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, তার মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য খবর পেয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, উর্দি পরা ব্যক্তিরা লাগোসের ধনী শহরতলী লেক্কিতে মঙ্গলবার গুলি ছোড়ে। বিবিসির নাইজেরিয়া সংবাদদাতা নোয়েনি জোন্স বলেছেন, গুলির আগে বিক্ষোভ এলাকায় ব্যারিকেড দেয় সেনাবাহিনী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, স্থানীয় সময় পৌনে ৭টায় সেনাবাহিনী আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরাসরি আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তিনি বলেন, তারা গুলি ছুড়তে ছুড়তে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। এটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল। আমাদের পাশে থাকা একজনের গায়ে গুলি লাগে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, বিক্ষোভে মৃত্যুর বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট পেয়েছে তারা।
এদিকে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে যে, তারা এই গোলাগুলির ঘটনার তদন্ত করবে। লাগোস এবং অন্যান্য শহরে ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
দু’সপ্তাহ ধরে দেশটির বড় শহরগুলোয় পুলিশের বিতর্কিত বিশেষ বাহিনী স্পেশাল অ্যান্টি-রবারি স্কোয়াডের (সার্স) বর্বরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। হতাহত ছাড়াও অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
লাগোসে ওই গোলাগুলির ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। তিনি নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি এবং দেশটির সেনাবাহিনীকে বিক্ষোভকারীদের হত্যা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নিজের দেশের জনগণকে হত্যায় নাইজেরিয়া সরকারকে দায়ী করেছেন দেশটির ফুটবলার ওডিয়ন জুড ইগহালো। টুইটারে এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করে তিনি বলেন, ‘আমি এই সরকারকে নিয়ে খুবই লজ্জিত।’
প্রসঙ্গত, সার্স হলো নাইজেরিয়া পুলিশের একটি বিতর্কিত শাখা। এই শাখার বর্বরতার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরুর পর এই শাখাটি বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।
ডিএস/এএইচ