নাইজিরিয়ায় হোস্টেলে ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর জঙ্গী হামলা, নিহত ৫০
ডেস্ক ॥ নাইজিরিয়ায় একটি কলেজ হোস্টেলে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীদের গুলিতে কমপক্ষে ৫০ ছাত্র নিহত হয়েছে। হোস্টেলে ঘুমন্ত ছাত্রদের ওপর এ বর্বর হামলা চালানো হয়। এ হামলার জন্য ইসলামী জঙ্গী সংগঠন বোকো হারামকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কেননা এর আগেও তারা কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হামলা চালিয়েছিল।
দেশটির উত্তর-পূর্বে ইয়োবে প্রদেশের প্রত্যন্ত গুজবা শহরে কলেজ অব এগ্রিকালচারের হোস্টেলে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। তবে এ সংখ্যা শতাধিকও হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় এক রাজনীতিবিদ বিবিসিকে বলেন, হামলায় কমপক্ষে ৫০ ছাত্র আহত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দুটি ভ্যান বোঝাই করে ছাত্রদের লাশ ইয়োবে প্রদেশের রাজধানী দামাতুরুর একটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। রয়টার্সের উদ্ধৃতি দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হাসপাতালে ৪০টি লাশ গণনা করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই যুবক এবং ধারণা করা হচ্ছে এরা সবাই ছাত্র।
কলেজটির প্রভোস্ট মলিমা ইদি মাতো সংবাদ সংস্থা এপিকে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রবিবার রাত ১টায় ছাত্রদের ঘুমের মধ্যে হামলা চালানো হয়। নিহতের সংখ্যা ৫০ জনের মতো হতে পারে। এই হামলার ফলে এক হাজার ছাত্র কলেজ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।’
নিরাপত্তা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
প্রদেশটির সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লাজারাস এলি সংবাদ সংস্থা এফপিকে জানান, গুলিবর্ষণের পর বন্দুকধারীরা শ্রেণীকক্ষগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বোকো হারামের পর পর হামলার জন্য নাইজিরিয়া উত্তর-পূর্বাঞ্চল এমনিতেই শঙ্কায় রয়েছে। সংগঠনটি এ অঞ্চলকে ইসলামী প্রদেশে রূপান্তরিত করতে সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় তাদের হামলায় কয়েক শ‘ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। তারা এর আগেও বেশ কয়েকটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে। যেসব স্কুল পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিচালিত হয় বোকো হারাম সেসব স্কুলেই হামলা চালায়। গত জুনে বোকো হারাম প্রদেশের দুটি স্কুলে হামলা চালায়।
এ বছরের মে মাসে নাইজিরিয়ার প্রেসিডেন্ট গুডলাক জোনাথন বোকো হারামের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং ১৪ মে প্রদেশটিতে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করা হয়।