নাইকো মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদন হাইকোর্টে খারিজ
১৮ জুন, ২০১৫
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে মামলাটি নিম্ন আদালতে পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রইল না।
একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে খালেদা জিয়াকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে করা রিটের ওপর রুলের শুনানি শেষে তা বাতিল করে ওই আদেশ দেয়া হয়।
এর আগে আনুষ্ঠানিক শুনানি শেষে গত ২৮ মে এ বিষয়ে রায় যেকোনো দিন দেওয়া হবে জানিয়ে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়। আদালতের গ্রীষ্মকালীন ছুটির পর রায় দেওয়া হবে বলে অপেক্ষমাণ রাখা হয়।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
ব্যারিস্টার রাগীব রউফ শুনানিতে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা আদালতে বলেছি, একই ঘটনা থেকে উদ্ভূত একই দিনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও নাইকো দুর্নীতি মামলা হয়েছিল। হাইকোর্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। এ কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধেও এ মামলা চলতে পারে না। এছাড়া এ মামলায় রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধন করে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন—এমন কোনো অভিযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তখন তিনি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে অনুমোদন দিয়েছিলেন, যা দুর্নীতির সংজ্ঞায় পড়ে না। সংবিধানের ৫৫ ও ১৪৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক আদেশ বা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন করার সুযোগ নেই। এসব কারণে মামলাটি অবৈধ ও বেআইনি।
এদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, আমি আদালতে শুনানিতে বলেছি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলা আর এ মামলা এক নয়। এ মামলায় অপরাধের যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। অপরাধের তথ্য-উপাত্ত, কার কতটুকু দায়িত্ব, সেটা বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে প্রমাণিত হবে। এটা হাইকোর্টে রিট আবেদনের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা যাবে না এবং এ ধরনের রিট আবেদন গ্রহণযোগ্যও হবে না।