নলকূপ থেকে গ্যাস নির্গমন : সেই বিদ্যালয়ের ক্ষতি কোটি টাকার
নলকূপ থেকে গ্যাস নির্গমন : সেই বিদ্যালয়ের ক্ষতি কোটি টাকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নলকূপ থেকে গ্যাস, বালু ও পানি নির্গমণের ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে গ্যাস, বালু ও পানি নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ হয়েছে।
কসবার সালদা গ্যাসফিল্ডের প্ল্যান্ট অপারেটর রেজাউল করিম জানান, এখন পরিস্থিতি একেবারে শান্ত রয়েছে। কূপের পানি কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি বিদ্যালয়টির নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করেন শ্রমিকরা। প্রায় সাড়ে পাঁচ শ’ ফুট খননের পর ৫ ফেব্রুয়ারি পানির স্তর পাওয়া যায়। এরপর পানির ফিল্টার পাইপ স্থাপনের জন্য পাইপ উপরের দিকে তুলতে গেলে হঠাৎ করে বিকট শব্দে পানির সাথে বালি ও গ্যাস বের হতে থাকে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকায় বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে, লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয় চারপাশে।
তবে গ্যাস, বালু ও পানি নির্গমণের ঘটনায় বিদ্যালয়ের দুটি সীমানা প্রাচীর ও শহীদ মিনার ভেঙে যায়। একটি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় অগ্নিদুর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকার বাড়ির চুলায় আগুন জ্বালাতে নিষেধ করা হয়েছিল।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া জানিয়েছেন, নতুন করে গ্যাস নির্গমন নাহলে রোববার থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। তারা বালু ও গ্যাসের নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টি ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখেন।
এরপর শুক্রবার রাত ৮টার পর থেকে নির্গমন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।