নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘রাজকীয় অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ
রাজকীয় অভ্যুত্থানের অভিযোগ অস্বীকার মালয়েশীয় রাজার
প্রবীণ নেতা মাহাথির মোহাম্মাদ পদত্যাগ করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘রাজকীয় অভ্যুত্থানের’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালয়েশিয়ার রাজা। রোববার মালয়েশিয়ার প্রাসাদ বলেছে, রাজা সংবিধানে নির্ধারিত তার বিবেচনামূলক ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন।
এই সপ্তাহে ব্রিটেনের দৈনিক গার্ডিয়ানে প্রকাশিত একটি সম্পাদকীয় সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানায় রাজ প্রাসাদ। মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমদ শাহ বিদ্রোহী শিবিরের সংখ্যাগরিষ্ঠতা দাবি করে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে মনোনয়ন দিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ফলাফলকে উল্টে দিয়েছেন বলে সম্পাদকীয়টিতে অভিযোগ করা হয়। দুর্নীতির দায়ে কলঙ্কিত একটি দলের সমর্থন নিয়ে গঠিত সরকারের প্রধান হিসেবে গত রোববার (১ মার্চ) মুহিউদ্দিন শপথ গ্রহণ করেন। দলটি ২০১৮ সালের সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিল।
প্রাসাদ বলেছে, রাজা তার সিদ্ধান্তে আসার আগেই পার্লামেন্ট সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে বৈঠক করেন। এসব বৈঠকের পর সম্ভবত মুহিউদ্দিনই পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার সমর্থন পাবেন বলে ধারণার ভিত্তিতে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়ার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছিল।
ইস্তানা নেগারা প্রাসাদ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফেডারেল সংবিধানের বিধান পুরোপুরি কঠোরভাবে মেনে চলা হয়। উন্মুক্ত পরামর্শ গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। এসব বিবেচনার পরই ফেডারেল সংবিধানের অধীনে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা প্রয়োগ করেন রাজা। অতএব কোনোভাবেই এই প্রক্রিয়াটিকে রাজকীয় অভ্যুত্থান হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
মুহিউদ্দিন আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে তার মন্ত্রিসভা ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি তার সরকারকে আস্থা ভোট দিয়ে চ্যালেঞ্জ জানাতে বিরোধী প্রচেষ্টার মধ্যে পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু করা দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি মাহাথির অপ্রত্যাশিতভাবে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পরে ক্ষমতাসীন জোট ভেঙে যাওয়ার পরে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশটি রাজনৈতিক কোন্দলে অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।