নতুন নিয়ম আসছে ক্রিকেটে
করোনার সময় সংক্রমণ এড়াতে বলে লালার ব্যবহার নিষিদ্ধ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। এবার বিষয়টি পুরোপুরিই নিষিদ্ধ করলো সংস্থাটি। এছাড়া টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও স্লো ওভার রেটের কারণে বৃত্তের বাইরে একজন ফিল্ডার কম নিয়ে খেলার বিধান চালু হচ্ছে। চলমান ওয়ানডে সুপার লীগ শেষ হওয়ার পরই এই নিয়ম বলবৎ হবে। এর বাইরেও বেশ কিছু নতুন আইন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে। সেগুলো হলো-
১/ বল ডেলিভারির সময় একজন ব্যাটসম্যানের মুভমেন্ট অবশ্যই পিচের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অন্যথায় ডেলিভারিটি ‘ডেড বল’ হিসেবে গণ্য হবে। আইসিসি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘একজন ব্যাটারের শরীর বা ব্যাটের কিছু অংশ হলেও পিচের মধ্যে থাকতে হবে। তারা সীমার বাইরে চলে গেলে আম্পায়ার ‘ডেড বল’ ডাকবেন। এমন বল যেটি ব্যাটারকে পিচ ছেড়ে যেতে বাধ্য করে, তা ‘নো বল’ হিসেবে গণ্য হবে।
২/ বোলার বল করার সময় যদি ফিল্ডিং সাইড ইচ্ছাকৃত ও বেআইনীভাবে স্থান পরিবর্তন করে, তাহলে অনফিল্ড আম্পায়ার ৫ রান জরিমানা করবেন তাদের।
এই ৫ রান ব্যাটিং সাইডের স্কোরে যোগ হবে। সঙ্গে ‘ডেড বল’ ঘোষণা করবেন আম্পায়ার।
৩/ বল করার মুহূর্তে দাগ ছেড়ে যাওয়ার কারণে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে রানআউট (মানকাড) করার বিষয়টিকে ‘আনফেয়ার প্লে’ থেকে ‘রান-আউট’ সেকশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দৃষ্টিকটু ‘মানকাডিং’ এখন থেকে সাধারণ রানআউটের মতোই বিবেচিত হবে।
৪/ ডেলিভারি পূর্ণ না করা পর্যন্ত কোনো বোলার স্ট্রাইকিং প্রান্তে থ্রো করতে পারবেন না। এতদিন এবাবে থ্রো করে রান আউটের চান্স নিতে পারতেন বোলাররা। তবে এখন থেকে এমনটি করলে সেটি হবে ‘ডেড বল’।
৫/ এতদিন ক্যাচ ধরার আগে ব্যাটাররা নিজেদের ক্রস করলে নতুন ব্যাটার এসে নন-স্ট্রাইকারে দাঁড়াতেন। এ নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে আইসিসি। নতুন ব্যাটসম্যানই এখন থেকে পরের বলটি খেলবেন।
৬/ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে ‘হাইব্রিড’ উইকেট ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এতদিন শুধু নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের উইকেটের ব্যবহার ছিল। হাইব্রিড উইকেট হলো প্রাকৃতিক ঘাস ও কৃত্রিম টার্ফের সমন্বয়ে তৈরি এক ধরনের বিশেষ উইকেট।
৭/ টেস্ট ও ওয়ানডেতে একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর নতুন ব্যাটসম্যান উইকেটে আসার জন্য এখন থেকে ২ মিনিট সময় পাবেন। আগে পেতেন ৩ মিনিট। তবে টি-টোয়েন্টিতে আগের মতো ৯০ সেকেন্ডই সময় পাবেন ব্যাটসম্যানরা।
নিয়মগুলো গত মার্চে ক্রিকেটের আইনে এনেছিল মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। আইসিসি ক্রিকেট কমিটির সুপারিশের পর (যেটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী) চিফ এক্সিকিউটিভ কমিটির সভার পর্যালোচনা শেষে প্লেয়িং কন্ডিশনে এসব নিয়ম যুক্ত করলো আইসিসি।