নতুন নির্বাচন চায় আমেরিকা: মজীনা
ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা বলেছেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন বাংলাদেশের জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন হয়নি। আমেরিকা আশা করে অবিলম্বে সংলাপের মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য নতুন নির্বাচন।”
আমেরিকার সিনেটে বাংলাদেশ বিষয়ে যে শুনানি চলছে তাতে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দিশাই বিসওয়াল এ বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠকে তাকে এসব কথা জানিয়েছেন মজীনা।
মঙ্গলবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সংবাদিকদের একথা জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
মজীনা বলেন, “কোনো পক্ষ থেকেই রাজনৈতিক সহিংসতা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন। এসব অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।”
মজিনা বলেন, “সরকারের উচিত বিরোধী দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ করে দেয়া আর বিরোধী দলের উচিত সেই সুযোগ দায়িত্বশীলভাবে কাজে লাগানো।”
বাংলাদেশের জনগণের সম্পৃক্ততামূলক কর্মসূচিতে আমেরিকার সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন নিয়েও খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান মজীনা।
মধ্যবর্তী নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সংলাপ ও আলোচনার মাধ্যমে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা বলেছেন। এটা ভালো ধারণা।”
উইকলিকসে তারেক রহমানকে নিয়ে একটি বক্তব্য প্রকাশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চাইলে মজীনা বলেন, “এটা একটা ক্যালাসিফাইড ডকুমেন্ট। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।”
অন্যদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “খালেদা জিয়া আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন সরকারের সঙ্গে জনগণের ম্যান্ডেট নেই ও আস্থা নেই। যা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। ওই নির্বাচনে ৫ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশ একটি অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে। তাই কালক্ষেপন না করে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য দ্রুত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংলাপের ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের মানুষ এটাই চায়।”
বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ছাড়াও তার উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও ড. ওসমান ফারুক উপস্থিত ছিলেন।