নতুন জায়গায় খোঁজ চলছে বিমানটির
পার্থ: মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের নিখোঁজ বিমান এমএইচ ৩৭০-এর ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানের জায়গা পরিবর্তন করা হয়েছে।
শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ জানায়, বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের কারণে অনুসন্ধান ক্ষেত্র পরিবর্তন করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান মেরিটাইম সেফটি অথরিটি (আমসা) জানায়, দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের যে অঞ্চলে অনুসন্ধান অভিযান চলছিলো তার পরিবর্তে এখন ১১০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে নতুন একটি এলাকায় তল্লাশি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
রাডার থেকে সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া বিমানটি অপেক্ষাকৃত দ্রুতগতিতে চলছিল এবং এর ফলে এটি অধিক জ্বালানি ব্যবহার করছিলো। আর এ জন্যেই অনুসন্ধান ক্ষেত্র পরিবর্তনের এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ উপগ্রহ তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, বিমানটি দক্ষিণ ভারত মহাসাগরের কোথাও বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত এর কোনো ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মেলেনি।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অনুসন্ধান তৎপরতা অস্ট্রেলিয়ার পার্থ নগরীর ২৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি এলাকায় কেন্দ্রীভূত ছিলো।
আমসা’র জরুরি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জন ইয়াং বলেন, “নতুন তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধানকারী দল সেই এলাকা থেকে সরে গেছে।”
অনুসন্ধান অভিযান সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা রামসা’র এক বিবৃতিতে বলা হয়, মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক তদন্ত দলের কাছ থেকেই নতুন তথ্য এসেছে।
আমসা জানায়, নিখোঁজ বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত দক্ষিণ চীন সাগর ও প্রণালীর মধ্যবর্তী স্থানের মালাক্কা রাডার তথ্যের অব্যাহত বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগে যে গতিতে চলছিলো বলে অনুমান করা হয়েছিলো বিমানটি তার চেয়ে অধিক গতিতে চলছিলো। ফলে এটির জ্বালানি বেশি হারে খরচ হচ্ছিল । এ থেকে অনুমিত হয় যে, বিমানটি ভারত মহাসাগরে আরো কম দূরত্ব অতিক্রম করেছিল।
সংস্থা জানায়, অস্ট্রেলীয় পরিবহন নিরাপত্তা ব্যুরো (এটিএসবি) নির্ধারণ করেছে যে এটি বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ প্রাপ্তির সম্ভাব্য অবস্থানের সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য দিকনির্দেশনা।
নতুন অনুসন্ধান এলাকাটি পার্থের ১৮০০ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং এটি প্রায় তিন লাখ ১৯ হাজার বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত।
আমসা’র জন ইয়াং বলেন, “নতুন এ অঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া এলাকাটি স্থলভাগ থেকে তুলনামূলকভাবে কাছে হওয়ায় অনুসন্ধানকারী বিমান এই এলাকায় আরো বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালাতে সক্ষম হবে। সূত্র: ওয়েবসাইট