ধর্মযাজক হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ৫ ’জেএমবি’ গ্রেফতার

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় ধর্মযাজক লুক সরকারকে (৫০) গলাকেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি গ্রেফতাররা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘৫ জেএমবি সদস্যকে’ আটকের খবর জানান পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর কবির।
তিনি জানান, রাজধানী ঢাকা, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন জেএমবি’র সদস্য।
আটকরা হলেন- পাবনা সদর উপজেলার নূরপুর গাংকোলা গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে রাবিক ওরফে রাব্বি (২২), একই উপজেলার সিঙ্গা পালপাড়া গ্রামের আব্দুল রহিম শেখ, নাজিরপুর নিয়ামতুল্লাহপুর গ্রামের নওশের প্রমাণিকের ছেলে আব্দুল আলিম (৩৬), মজিদপুর মধ্যপাড়া গ্রামের মুসনুর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম ওরফে তুলিব (২২) ও সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার বাগাবাড়ি গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে আমজাদ হোসেন (৩০)।
পুলিশ সুপার দাবি করেন, গ্রেফতাররা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তারা ধর্মযাজক লুক সরকারকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর ধর্মযাজক লুক সরকার হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ঈশ্বরদী উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ওবায়দুলকে গ্রেফতার করা হয়। ওবায়দুল শিবিরকর্মী বলে দাবি করেছিল পুলিশ।
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কে গত ৫ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবক ধর্মগ্রন্থ পাঠ শোনার কথা বলে লুক সরকারের ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে।
এ ঘটনায় আহত লুক সরকার নিজেই বাদী হয়ে ওইদিন রাতে অজ্ঞাতপরিচয় তিন যুবককে আসামি করে একটি মামলা করেন।
লুক সরকারের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়। তিনি পাঁচ বছর ধরে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর সড়কের স্কুলপাড়া এলাকায় মনিরুল ইসলামের বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন। তিনি ঈশ্বরদীর ফেইথ বাইবেল চার্চের যাজক।