দেশ অচলের টার্গেট ঢাকা হবে বিচ্ছিন্ন

24/09/2013 8:36 pmViews: 10

index স্টাফ রিপোর্টার: নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে সারাদেশে অন্তত ৪০টি স্থানকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ওই সব স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করবে বিএনপি। আগামী ২৪ অক্টোবরকে ‘ডেডলাইন’ ধরে এ ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এর মাধ্যমে তারা সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়। কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই এ কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে।

সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি রাজধানী অবরোধের ডাক দেবে দলটি। সারাদেশে যখন আন্দোলন দানা বাঁধবে তখন রাজধানীতে মূল আঘাত হানা হবে। রাজধানীর কর্মসূচি সফল করার মূল দায়িত্ব থাকবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতে। এ ক্ষেত্রে যতখানি ‘ধ্বংসাত্মক’ হওয়া প্রয়োজন, ততটাই হবেন নেতাকর্মীরা। অবশ্য, দীর্ঘদিন আন্দোলন চালানোর সামর্থ্য নেতাকর্মীদের আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। তাই ‘প্রাণপণ’ আন্দোলনে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ‘ফল’ পেতে চায় দলটি।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাত্ আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতায় আসে কি না সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। এই সময়ের মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে খালেদা জিয়ার জনসভা করার কথা আছে।

অবশ্য হজ, ঈদ এবং পূজার কথা বিবেচনায় এনে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচি না দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। তাছাড়া ঈদ এবং পূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবরের পর টানা ছুটি থাকবে।

আন্দোলন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী এক সদস্য বলেন, প্রতিটি বিভাগ থেকে ঢাকায় প্রবেশ পথকে ভাগ করে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ণয় করা হবে। এই স্থানের সংখ্যা আপাতত হবে ৪০টি। অর্থাত্ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগ থেকে যে সব পথ ধরে ঢাকায় আসা যায় সেগুলো ভাগ করে দেয়া হবে। এছাড়া জেলা ও মহানগর পর্যায়েও কয়েকটি স্পট থাকবে। এ সব স্থানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করবেন। কেন্দ্রীয় সাত নেতা সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে থাকবেন একজন।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং আন্দোলন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পালন হলেও এবার আন্দোলন হবে বিকল্প নেতৃত্বে। আন্দোলন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সারাদেশে ৪০টি পয়েন্টে অবরোধ সৃষ্টির পরিকল্পনা তাদের থাকলেও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরও অনেক জায়গায় অবরোধ করবেন বলে তারা আশা করছেন।

ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল, অবরোধ এবং ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন  বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার কী করে, আমরা তা দেখছি। সরকার দাবি না মানলে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল এবং সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও জনতা রাস্তায় নেমে আসবে।

এদিকে ২৪ অক্টোবরের পর কী হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে দেশি-বিদেশি সব মহল। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থানে ‘অনড়’ থাকায় আপাতত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্যোগ নেয়, সবার নজর এখন সেদিকে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ দিন ২৪ অক্টোবর বা তার পরদিন ২৫ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে পারে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার কথা বলাবলি হচ্ছে। কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করছেন, শুধু ঢাকা নয়, একই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করতে হবে। নইলে সরকারের ওপর পুরোপুরি চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে আন্দোলনের কেন্দ্র ধরে সারাদেশ অচল করে দিতে হবে।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর সরকার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ২৫ অক্টোবরের পর সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কর্মসূচি প্রণয়নে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা জানান, আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রাজপথে থাকবেন

হাসান শিপলু : নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে সারাদেশে অন্তত ৪০টি স্থানকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ওই সব স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করবে বিএনপি। আগামী ২৪ অক্টোবরকে ‘ডেডলাইন’ ধরে এ ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এর মাধ্যমে তারা সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়। কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই এ কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে।

সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি রাজধানী অবরোধের ডাক দেবে দলটি। সারাদেশে যখন আন্দোলন দানা বাঁধবে তখন রাজধানীতে মূল আঘাত হানা হবে। রাজধানীর কর্মসূচি সফল করার মূল দায়িত্ব থাকবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতে। এ ক্ষেত্রে যতখানি ‘ধ্বংসাত্মক’ হওয়া প্রয়োজন, ততটাই হবেন নেতাকর্মীরা। অবশ্য, দীর্ঘদিন আন্দোলন চালানোর সামর্থ্য নেতাকর্মীদের আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। তাই ‘প্রাণপণ’ আন্দোলনে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ‘ফল’ পেতে চায় দলটি।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাত্ আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতায় আসে কি না সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। এই সময়ের মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে খালেদা জিয়ার জনসভা করার কথা আছে।

অবশ্য হজ, ঈদ এবং পূজার কথা বিবেচনায় এনে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচি না দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। তাছাড়া ঈদ এবং পূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবরের পর টানা ছুটি থাকবে।

আন্দোলন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী এক সদস্য বলেন, প্রতিটি বিভাগ থেকে ঢাকায় প্রবেশ পথকে ভাগ করে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ণয় করা হবে। এই স্থানের সংখ্যা আপাতত হবে ৪০টি। অর্থাত্ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগ থেকে যে সব পথ ধরে ঢাকায় আসা যায় সেগুলো ভাগ করে দেয়া হবে। এছাড়া জেলা ও মহানগর পর্যায়েও কয়েকটি স্পট থাকবে। এ সব স্থানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করবেন। কেন্দ্রীয় সাত নেতা সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে থাকবেন একজন।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং আন্দোলন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পালন হলেও এবার আন্দোলন হবে বিকল্প নেতৃত্বে। আন্দোলন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সারাদেশে ৪০টি পয়েন্টে অবরোধ সৃষ্টির পরিকল্পনা তাদের থাকলেও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরও অনেক জায়গায় অবরোধ করবেন বলে তারা আশা করছেন।

ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল, অবরোধ এবং ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দৈনিক বর্তমানকে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার কী করে, আমরা তা দেখছি। সরকার দাবি না মানলে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল এবং সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও জনতা রাস্তায় নেমে আসবে।

এদিকে ২৪ অক্টোবরের পর কী হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে দেশি-বিদেশি সব মহল। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থানে ‘অনড়’ থাকায় আপাতত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্যোগ নেয়, সবার নজর এখন সেদিকে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ দিন ২৪ অক্টোবর বা তার পরদিন ২৫ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে পারে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার কথা বলাবলি হচ্ছে। কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করছেন, শুধু ঢাকা নয়, একই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করতে হবে। নইলে সরকারের ওপর পুরোপুরি চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে আন্দোলনের কেন্দ্র ধরে সারাদেশ অচল করে দিতে হবে।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর সরকার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ২৫ অক্টোবরের পর সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কর্মসূচি প্রণয়নে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা জানান, আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রাজপথে থাকবেন

– See more at: http://www.dainikbartoman.com/index.php?page=details&nc=4&news_id=8021#sthash.6uwtfq1N.dpuf

হাসান শিপলু : নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে সারাদেশে অন্তত ৪০টি স্থানকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ওই সব স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করবে বিএনপি। আগামী ২৪ অক্টোবরকে ‘ডেডলাইন’ ধরে এ ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এর মাধ্যমে তারা সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়। কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই এ কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে।

সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি রাজধানী অবরোধের ডাক দেবে দলটি। সারাদেশে যখন আন্দোলন দানা বাঁধবে তখন রাজধানীতে মূল আঘাত হানা হবে। রাজধানীর কর্মসূচি সফল করার মূল দায়িত্ব থাকবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতে। এ ক্ষেত্রে যতখানি ‘ধ্বংসাত্মক’ হওয়া প্রয়োজন, ততটাই হবেন নেতাকর্মীরা। অবশ্য, দীর্ঘদিন আন্দোলন চালানোর সামর্থ্য নেতাকর্মীদের আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। তাই ‘প্রাণপণ’ আন্দোলনে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ‘ফল’ পেতে চায় দলটি।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাত্ আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতায় আসে কি না সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। এই সময়ের মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে খালেদা জিয়ার জনসভা করার কথা আছে।

অবশ্য হজ, ঈদ এবং পূজার কথা বিবেচনায় এনে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচি না দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। তাছাড়া ঈদ এবং পূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবরের পর টানা ছুটি থাকবে।

আন্দোলন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী এক সদস্য বলেন, প্রতিটি বিভাগ থেকে ঢাকায় প্রবেশ পথকে ভাগ করে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ণয় করা হবে। এই স্থানের সংখ্যা আপাতত হবে ৪০টি। অর্থাত্ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগ থেকে যে সব পথ ধরে ঢাকায় আসা যায় সেগুলো ভাগ করে দেয়া হবে। এছাড়া জেলা ও মহানগর পর্যায়েও কয়েকটি স্পট থাকবে। এ সব স্থানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করবেন। কেন্দ্রীয় সাত নেতা সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে থাকবেন একজন।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং আন্দোলন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পালন হলেও এবার আন্দোলন হবে বিকল্প নেতৃত্বে। আন্দোলন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সারাদেশে ৪০টি পয়েন্টে অবরোধ সৃষ্টির পরিকল্পনা তাদের থাকলেও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরও অনেক জায়গায় অবরোধ করবেন বলে তারা আশা করছেন।

ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল, অবরোধ এবং ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দৈনিক বর্তমানকে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার কী করে, আমরা তা দেখছি। সরকার দাবি না মানলে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল এবং সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও জনতা রাস্তায় নেমে আসবে।

এদিকে ২৪ অক্টোবরের পর কী হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে দেশি-বিদেশি সব মহল। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থানে ‘অনড়’ থাকায় আপাতত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্যোগ নেয়, সবার নজর এখন সেদিকে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ দিন ২৪ অক্টোবর বা তার পরদিন ২৫ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে পারে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার কথা বলাবলি হচ্ছে। কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করছেন, শুধু ঢাকা নয়, একই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করতে হবে। নইলে সরকারের ওপর পুরোপুরি চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে আন্দোলনের কেন্দ্র ধরে সারাদেশ অচল করে দিতে হবে।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর সরকার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ২৫ অক্টোবরের পর সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কর্মসূচি প্রণয়নে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা জানান, আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রাজপথে থাকবেন

– See more at: http://www.dainikbartoman.com/index.php?page=details&nc=4&news_id=8021#sthash.6uwtfq1N.dpuf

হাসান শিপলু : নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে সারাদেশে অন্তত ৪০টি স্থানকে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ওই সব স্থানে অবরোধ সৃষ্টি করবে বিএনপি। আগামী ২৪ অক্টোবরকে ‘ডেডলাইন’ ধরে এ ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এর মাধ্যমে তারা সারাদেশ থেকে রাজধানী ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে চায়। কোনো পূর্ব ঘোষণা না দিয়েই এ কর্মসূচি শুরু করা হতে পারে।

সারাদেশ থেকে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি রাজধানী অবরোধের ডাক দেবে দলটি। সারাদেশে যখন আন্দোলন দানা বাঁধবে তখন রাজধানীতে মূল আঘাত হানা হবে। রাজধানীর কর্মসূচি সফল করার মূল দায়িত্ব থাকবে ঢাকা মহানগর বিএনপি এবং ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের হাতে। এ ক্ষেত্রে যতখানি ‘ধ্বংসাত্মক’ হওয়া প্রয়োজন, ততটাই হবেন নেতাকর্মীরা। অবশ্য, দীর্ঘদিন আন্দোলন চালানোর সামর্থ্য নেতাকর্মীদের আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দলের উচ্চ পর্যায়ে। তাই ‘প্রাণপণ’ আন্দোলনে সর্বোচ্চ সাত দিনের মধ্যে ‘ফল’ পেতে চায় দলটি।

জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনের শেষ দিন অর্থাত্ আগামী ২৪ অক্টোবরের মধ্যে সরকার সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সমঝোতায় আসে কি না সে পর্যন্ত অপেক্ষা করবে বিএনপি। এই সময়ের মধ্যে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে খালেদা জিয়ার জনসভা করার কথা আছে।

অবশ্য হজ, ঈদ এবং পূজার কথা বিবেচনায় এনে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জনভোগান্তি সৃষ্টিকারী কোনো কর্মসূচি না দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে তাদের। তাছাড়া ঈদ এবং পূজা উপলক্ষে ১১ অক্টোবরের পর টানা ছুটি থাকবে।

আন্দোলন পরিকল্পনা সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী এক সদস্য বলেন, প্রতিটি বিভাগ থেকে ঢাকায় প্রবেশ পথকে ভাগ করে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থান নির্ণয় করা হবে। এই স্থানের সংখ্যা আপাতত হবে ৪০টি। অর্থাত্ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগ থেকে যে সব পথ ধরে ঢাকায় আসা যায় সেগুলো ভাগ করে দেয়া হবে। এছাড়া জেলা ও মহানগর পর্যায়েও কয়েকটি স্পট থাকবে। এ সব স্থানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করবেন। কেন্দ্রীয় সাত নেতা সাত বিভাগের দায়িত্বে থাকবেন। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বে থাকবেন একজন।

দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম এবং আন্দোলন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে পালন হলেও এবার আন্দোলন হবে বিকল্প নেতৃত্বে। আন্দোলন কার্যক্রম সমন্বয় করবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, সারাদেশে ৪০টি পয়েন্টে অবরোধ সৃষ্টির পরিকল্পনা তাদের থাকলেও নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আরও অনেক জায়গায় অবরোধ করবেন বলে তারা আশা করছেন।

ইতিমধ্যে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামী ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল, অবরোধ এবং ঘেরাও কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন দৈনিক বর্তমানকে বলেন, সংসদের চলতি অধিবেশনে সরকার কী করে, আমরা তা দেখছি। সরকার দাবি না মানলে যা যা করা দরকার তা-ই করা হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ২৪ অক্টোবরের পর হরতাল এবং সড়ক, নৌ ও রেলপথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচি দেয়া হবে। বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর নেতাকর্মী ও জনতা রাস্তায় নেমে আসবে।

এদিকে ২৪ অক্টোবরের পর কী হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অবশ্য চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছে দেশি-বিদেশি সব মহল। কিন্তু সরকার ও বিরোধী দল যার যার অবস্থানে ‘অনড়’ থাকায় আপাতত সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র কী উদ্যোগ নেয়, সবার নজর এখন সেদিকে।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, সরকারের মেয়াদের শেষ দিন ২৪ অক্টোবর বা তার পরদিন ২৫ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ করতে পারে বিএনপি। ওই মহাসমাবেশ থেকেই অবস্থান কর্মসূচি শুরু করার কথা বলাবলি হচ্ছে। কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা মনে করছেন, শুধু ঢাকা নয়, একই সঙ্গে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করতে হবে। নইলে সরকারের ওপর পুরোপুরি চাপ সৃষ্টি করা সম্ভব হবে না। ঢাকাকে আন্দোলনের কেন্দ্র ধরে সারাদেশ অচল করে দিতে হবে।

বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা বলেছেন, পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর সরকার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে। ২৫ অক্টোবরের পর সব প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকারের শতভাগ নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। কর্মসূচি প্রণয়নে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তারা জানান, আন্দোলনে নেতাকর্মীদের সঙ্গে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও রাজপথে থাকবেন

– See more at: http://www.dainikbartoman.com/index.php?page=details&nc=4&news_id=8021#sthash.6uwtfq1N.dpuf

Leave a Reply