দেশের সকল মানুষকে শিরোপা উৎসর্গ করলেন সাবিনা
বুধবার দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বাংলাদেশের মেয়েদের বহনকারী বিমান। তাদেরকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ক্রীড়া ও যুব প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কর্মকর্তারা। সাফল্য নিয়ে দেশে ফেরার উদযাপনের শুরুতেই মহাসমারোহে কেক কাটেন সাবিনা। এরপর ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেওয়া হয় মেয়েদের।
ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে ছাদখোলা বাসে ওঠে নারী ফুটবল দল। মেয়েরা বিমানবন্দরে নামার আগে সকাল থেকেই প্রচুর সমর্থক ভিড় জমান বিমানবন্দরে। সংবাদকর্মীরাও সকাল থেকেই ছিলেন সেখানে। ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ স্লোগানে মুখর ছিল বিমানবন্দর এলাকা। সাম্প্রতিক অতীতে কোনো ইভেন্ট কাভার করতে এত সংবাদকর্মী বিমানবন্দরে এসেছেন কি না, সন্দেহ।
ছাদখোলা বাসে ওঠার আগের সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা সাবিনা আরও এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে বলেন, ‘আমরা একটা ভালো ফল করে এসেছি। আমাদের এখন চিন্তা সামনের দিকে কীভাবে আরও এগিয়ে যাওয়া যায়।’ মেয়েদের অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেন, ‘অবশ্যই, সবচেয়ে বড় যে প্রাপ্য সেটা আমাদের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) চেয়ারম্যান কাজী সালাউদ্দিন স্যারের। উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান কিরণ আপাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও মন্ত্রী মহোদয়গণ সহযোগিতা করেছেন। ২০১২ সাল থেকে মেয়েদের ফুটবল ভালোভাবে চলছে এবং গত চার-পাঁচ বছরের যদি সাফল্য দেখেন, মেয়েদের পরিশ্রম দেখেন, সেটারই ফল আমরা পেয়েছি। আমরা আসলে কৃতজ্ঞ সবার প্রতি।’
জাতীয় দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের মতে, এই সফলতা এক দশকের ধারাবাহিক পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার সুমিষ্ট ফল। তিনি ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘প্রথমে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আজকের এই রাজসিক আয়োজনের জন্য। আমাদের মাননীয় সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও ফুটবল ফেডারেশনকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের এই পথচলা আসলে অনেক দিনের। ২০১২ সালে প্রথমে আমাদের পরিবর্তনটা শুরু হয়েছিল। সেটার পরিপ্রেক্ষিতে সবার অক্লান্ত পরিশ্রমে আজকের এই সফলতা।’