‘দেশের মানুষ বিস্ফোরণের অপেক্ষায়’
প্রতিবেদক : বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষ স্ফুলিঙ্গের অপেক্ষায় রয়েছে যে কবে বিস্ফোরণ হবে। সরকার দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করার সকল প্রচেষ্টা সম্পন্ন করেছে। ইতোমধ্যে দেশের অর্থনীতিকে অন্তঃসার শূন্য করে ফেলেছে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ‘তারেক রহমানের রাজনৈতিক চিন্তাপ্রসূত আগামীর বাংলাদেশ ও উন্নয়ন ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলেচানা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। ভেতরে ভেতরে মানুষ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, সরকারের এক মন্ত্রী নতুন করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের নেতা হতে যেয়ে শিল্পটিকে ধ্বংসের উস্কানি দিচ্ছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দেশকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে সকল প্রচেষ্টা সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, লন্ডনে এক কর্মী সভায় তারেক রহমানের এক বক্তব্যে সরকারের ঘরে আগুন লেগে গেছে। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিলে তা রোধ করা যায় না। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে। নির্দলীয় সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না, এতে কোনো দ্বিধা নেই। নির্বাচনকালীন মাঠ সমতল না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এটা স্পষ্ট।
তিনি বলেন, অতীতমুখীতা নয়, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে সামনের দিকে এগুতে হবে, তারেক রহমান ব্যতিক্রমী ধারা সৃষ্টি করেছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ বিদেশ থেকে একজন সেনাপতি এনেছেন। যিনি এসেই মানুষকে বাণী দিচ্ছেন। কুত্সা ও হিংসাত্মক বক্তব্য দিচ্ছেন। তার মূখে ভবিষ্যত সম্ভাবনার কোনো কথা নেই।
তারেক রহমানকে তিনি সফল রাজনীতিক দাবি করে বলেন, তিনিই নেতা, যিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে পারেন।
সরকার অর্থনীতিকে অন্তঃসারশূন্য করে ফেলেছে এমন অভিযোগ করে বলেন, ব্যাংকগুলোকে শূন্য করে ফেলেছে। দেশের সমস্ত সম্পদ লুট করে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই সরকারের আমলে বিদেশের শ্রমবাজার বলতে গেলে বন্ধ। কোনো শ্রমিক বিদেশে যেতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্র জিএসপি স্থগিত হয়েছে। সরকারের পায়ের তলায় মাটির নেই। তারা রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে জনসভা করতে দিচ্ছে না সরকার। রাজধানীর সব জনসভাস্থল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশ করতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়।
কমপক্ষে দুই পত্রিকা এবং দুটি চ্যানেলে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে বলে যে আইন করতে যাচ্ছে সরকার তা কোন ধরনের গণতন্ত্র? প্রশ্ন ফখরুলের।
অনুষ্ঠানের শুরুতে লন্ডনে কর্মীসভায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্যের ধারণকৃত ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।
সৈয়দ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, আবু আহমেদ, ঢাবির সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শামছুল হক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।