দেশের মানুষ অতীতে কখনো এত ভালো ছিল না: ওবায়দুল কাদের
দেশের মানুষ অতীতে কখনো এত ভালো ছিল না: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা শুনে লাভ নেই। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার অবস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনা করে দেখুন, এরপরও বাংলাদেশের মানুষ ভালো আছে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ’৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মতো এত ভালোভাবে দেশ কেউ পরিচালনা করেনি। এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ অতীতে কখনো এত ভালো ছিল না। তিনি বলেন, দেশ চালাতে গেলে ছোটখাটো ভুল হতে পারে। সব কাটিয়ে আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে অন্য কেউ তা পারেনি। বিএনপি নেতারা শুধু সমালোচনাই করতে জানে। ‘সরকার দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে যা করেছিল তা জনগণ এখনো ভুলে যায়নি। তাদের বহুদলীয় গণতন্ত্র ছিল বহুদলীয় ছদ্মবেশী তামাশা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্যে বলেন, যে নিজে সংসদ সদস্য হয়ে সংসদে যায়নি, তার মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না। গণতন্ত্রের নামে মুখোশ পরা বর্ণ চোরাদের চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ’৭৫ পরবর্তীকালে শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামল ছাড়া আর কোনো সরকারের শাসনামল ভালো ছিল না। এ বছরের জুন মাসে পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে পারে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর কাজ করা হচ্ছে। কোনো বিদেশি ঋণ ছাড়াই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ হচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হয়নি হবেও না। অন্যদিকে অন্য সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশ একাধিকবার ঋণখেলাপি হয়েছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে শুধু সহযোগিতা করবে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দায়িত্ব পালন করবে নির্বাচন কমিশন। আইন-শৃঙ্খলা, প্রশাসন সবকিছুই থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমালোচনা না করে আসুন নির্বাচনে লড়াই করি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ। পরে এতিম, প্রতিবন্ধী ও দুস্থ অসহায়দের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ এবং নিহত কনকের স্বজনদের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নেতৃবৃন্দ।