দেশের প্রথম নারী উপাচার্য

02/03/2014 10:03 pmViews: 6

 

দেশের প্রথম নারী উপাচার্য

 

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পেলেন এক নারী। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ১৮ তম উপাচার্য হিসেবে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রোববার দুপুরে  এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক এবং অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। দুপুরেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ফারজানা ইসলাম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এক আদেশে জানানো হয়, অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে আগামী চার বছরের মেয়াদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবদুল হামিদ। জাবি অধ্যাদেশ ১৯৭৩-এর ১১(১) ধারা অনুযায়ী এ নিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এম এ মতিন এবং উপ-উপাচার্যকে (প্রশাসন) অব্যাহতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। নতুন উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন প্যানেল নির্বাচনে দ্বিতীয় হওয়া গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক আবুল হোসেন।

এর আগে প্রথম নারী হিসেবে উপ-উপাচার্য হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিন্নাতুন্নেছা তাহমিদা।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম প্রথম হন। এছাড়া গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবুল হোসেন দ্বিতীয় এবং সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আমির হোসেন তৃতীয় হন। তারা ৩ জনই সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবিরপন্থী বলে পরিচিত।

অধ্যাপক ফারজানার জন্ম ঢাকায়। তার পৈত্রিক ভিটা শরীয়তপুর জেলায়। উপাচার্য পদে নিয়োগ পাওয়ার আগে বিভাগীয় সভাপতির পদ ছাড়া আর কোনো প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেননি অধ্যাপক ফারজানা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।

নিয়োগ পেয়ে সরকার, রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের নিকট কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে নবনিযুক্ত উপাচার্য বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় যেন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে সে চেষ্টাই করবো আমি। গত কয়েক মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছন্দপতন হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাইকে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব।”

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে উপাচার্যকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষায়ও সমিতি সজাগ থাকবে এবং তার বিচ্যুতি ঘটলে সমিতি ব্যবস্থা নিবে।”

Leave a Reply