‘দেশবিরোধী’ রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সরিয়ে নিন: খালেদা জিয়া

রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিএনপি যে তথ্য দিয়েছে তা নির্ভুল দাবি করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা বলিনি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না। আমরা বলেছি যে, সুন্দরবন ধ্বংস করে নয়, বিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যত্র করা হোক। আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের কাছে করার বিরোধী।
গতকাল শনিবার রাতে চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমি যে তথ্যগুলো দিয়েছি ভুল কী, মিথ্যা তা প্রমাণ করুক। আমার তথ্য ভুল নয়। পারলে আমার বক্তব্যকে চ্যালেঞ্জ করুন।
খালেদা জিয়া রামপাল প্রকল্পটিকে ‘দেশবিরোধী ও গণবিরোধী’ আখ্যায়িত করে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবনের কাছ থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হলে দেশের স্বার্থ রক্ষা হবে না, দেশে শেষ হয়ে যাবে। ওই অঞ্চলের প্রতিটি জেলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, সুন্দরবন আমাদের জাতীয় সম্পদ, এটা কোনও দলের না। সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে।
আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি ও অপকর্মগুলো ঢাকতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, গুলশান হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার সঠিক তথ্য সরকার জনগণকে জানায়নি। এমনকি এই ঘটনার কোন তদন্তও হয়নি। আর এটা শেষ না হতেই তারা নিয়ে আসলো কল্যাণপুরে জঙ্গি গ্রেফতার। কিন্তু সত্যিকার অর্থে সরকার এখন পর্যন্ত কোন জঙ্গিকে ধরতে পারেনি।
সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, জঙ্গিদের কেনো জীবিত ধরা হচ্ছে না? আপনারা বলছেন, পুলিশ বাহিনী শক্তিশালী। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি জানি পুলিশ শক্তিশালী। তবে কেনো ধরতে পারলেও জঙ্গিদের জীবিত ধরা হচ্ছে না।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন শুরু করেছে জঙ্গি জঙ্গি খেলা। এসময় উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ।