দেশবিরোধী প্রতিরক্ষা চুক্তি করা যাবে না’
ফাইল ছবি
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি যাই কিছু করুন না কেন, দেশবিরোধী কোনো চুক্তি করলে মেনে নেওয়া হবে না। আশা করি, এমন কিছু তিনি করবেন না। জনগণকে পাশ কাটিয়ে কিছু করা হলে অবশ্যই আমাদের প্রতিবাদ করতে হবে। প্রয়োজনে রাজপথের আন্দোলনে যেতে হবে।
খালেদা জিয়া বলেন, পাশের দেশের সঙ্গে এই সরকার চুক্তি করতে যাচ্ছে- কেন এই চুক্তি? বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ভারতের চেয়ে অনেক বেশি চৌকস ও সাহসী। এ ধরনের চুক্তি করতে দেওয়া হবে না।
শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজের (একাংশ) নেতারা দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনেও নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে পারেনি। যদি সুষ্ঠু ভোট হতো তাহলে আরো অন্তত ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ধানের শীষের বিজয় হতো।
বেগম জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বুঝতে পেরেছে, সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের ভরাডুবি হবে। তাই তারা কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু করছে না। টালবাহানা না করে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, নির্বাচনের কোনো খবর নেই-উনি বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট চাচ্ছেন। হয়ত পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে দেখলে নির্বাচন দিয়ে দেবেন। কিন্তু সে নির্বাচনে আমরা কেন যাব, গিয়ে কী লাভ? লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই, আকাশ-পাতাল অবস্থান।
তিনি বলেন, লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড না হলে সে নির্বাচনে গিয়ে লাভ হবে না। বিদেশিরাও সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়।
তিনি বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভালো নেই। কারো কোনো নিরাপত্তা নেই। গুম-খুন অব্যাহত রয়েছে। ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুর মতো তরুণকে আজ পৈশাচিক কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এ দায় এড়াতে পারে না।
সাক্ষাৎকালে ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদ। এ সময় চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিএফইউজে সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম এ আজিজ, ইলিয়াস খান, মোদাব্বের হোসেন, বাকের হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।