দুর্নীতির দায়ে খোকার ১৩ বছর জেল, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন ঢাকার সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা। দুদকের করা দুই অভিযোগে তাকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১১ লাখ টাকা জরিমানা ও সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেয়া হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৭ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ রায় ঘোষণা করেন। সাদেক হোসেন খোকার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকা সম্পদ অর্জনের হিসাব গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
এর আগে দুদকের পক্ষে আদালত ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য দেন।
মামলাটির দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এবং রেজাউল করিম রেজা বলেন, আসামি সাদেক হোসেন খোকা পলাতক থাকায় একতরফা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।
২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর বিএনপির এই নেতাকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২০০৭ সালের ৬ ডিসেম্বর সাদেক হোসেন খোকা দুই কোটি ৪৪ লাখ ৮৭ হাজার ৮৬ টাকা সম্পদের হিসাব দাখিল করেন। দুদক সম্পদের তদন্তের পর ৯ কোটি ৭৬ লাখ ২৮ হাজার ২৬১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও নয় কোটি ৬৪ লাখ তিন হাজার ৬০৯ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২ এপ্রিল রমনা থানায় এই মামলা দায়ের করে।
২০০৮ সালের ১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করা এই মামলা হাইকোর্টে সাদেক হোসেন খোকার মামলা বাতিলের আবেদনের কারণে দীর্ঘদিন নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম স্থগিত ছিল।
মামলাটিতে তার স্ত্রী মিসেস ইসমত আরাও আসামি। তবে চার্জশিট দাখিলের পূর্বে হাইকোর্ট তার অংশের মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় তার অংশের তদন্তও স্থগিত রয়েছে। মামলায় খোকার ছেলে ইসরাক হোসেন ও মেয়ে সারিকা সাদেক আসামি থাকলেও তাদের চার্জশিটে অব্যাহতি দেয়া হয়।