দুর্নীতিগ্রস্তদের সংস্থা থেকে বিতাড়িত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেপ ব্লাটার।

আর এই মন্তব্য এলো তখনই, যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ বলছে, দুই দশক ধরে, ফিফার ভেতরে নিয়মতান্ত্রিক দুর্নীতির ঘটনায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ঘুষ বাণিজ্য চলছে।

দুর্নীতির অভিযোগে এর আগে সুইস পুলিশ ফিফার সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

মার্কিন বিচার বিভাগে ফিফার সাবেক ও বর্তমান যে ১৪ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জ্যাক ওয়ার্নারও আছেন এ তালিকায়।

“মিস্টার ওয়ার্নার বলেন, যখন আমি ফিফার দায়িত্বে ছিলাম তখন নিজেকে কেবল খেলাধুলা সংক্রান্ত কাজেই  সম্পৃক্ত রেখেছি। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার মত কোনও কাজ আমি করিনি”।

অভিযুক্তদের তালিকায় আছেন ফিফার বর্তমান ও সাবেক শীর্ষস্থানীয় এই কর্মকর্তারা।

প্রতারণা, ফিফা কর্মকর্তাদের আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত চালানোর ঘোষণা ও এর পরেই সুইজারল্যান্ডে ৭ কর্মকর্তাকে পাকড়াও করার ঘটনা দুনিয়া জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

মার্কিন বিচার বিভাগ বলছে, গত দুই দশক ধরে ফিফায় মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের নিয়মতান্ত্রিক দুর্নীতি হয়েছে, যেটাকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ড ওয়েবার বলছেন, তাঁর ভাষায় প্রতারণার বিশ্বকাপ।

এদিকে রাশিয়া এবং কাতারে আগামী দুই বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে কোনো আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা তা নিয়ে নিজস্ব ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে সুইস কর্তৃপক্ষ।

সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস থেকে জানানো হয় যে, প্রয়োজনে ফিফার প্রধান সেপ ব্লাটারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, এবং সেক্ষেত্রে কোনো অজুহাতই কাজে আসবে না।