ঢাকা: পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে অনেক আকাশচুম্বী, দুর্গম পর্বত। আপন মহিমায় মাথা উঁচু করে দুঃসাহসী সব আরোহীদের ইশারা করে ওই পর্বতমালা। এমনই পাঁচটি পর্বতের আদ্যোপান্ত নিয়ে এই আয়োজন।
১. ভ্যানসন মাসিফ, এন্টার্কটিকা: এন্টার্কটিকা মহাদেশের সর্বোচ্চ পর্বত এই ভ্যানসন মাসিফ। এ টি সমুদ্র উপকুল থেকে ১৬০৫০ ফুট উপরে এবং দক্ষিণ মেরু থেকে প্রায় ৭৫০ মাইল দূরে অবস্থিত। ১৯৫৮ সালে আমেরিকান নেভির গবেষক কার্ল ভ্যানসন এটি আবিষ্কার করেন। পর্বোতোরোহীদের জন্য এখানে ভ্রমণ তেমন সুখকর নয়। কারণ, এখানের তাপমাত্রা অনেক ঠাণ্ডা। প্রায় মাইনাস ২০ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
২. মন্ট ব্ল্যাংক, ফ্রান্স: এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ৭৮২ ফুট উঁচু । এটিই আল্পস পর্বতের সর্বোচচ শৃঙ্গ। মন্ট ব্ল্যাংক পর্বতটি ফ্রান্স ও ইতালি দুই দেশের সীমান্তে অবস্থিত।
৩. কিলিমাঞ্জারো, তানজানিয়া: মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো, তানিজানিয়ার সুপ্ত আগ্নিয়গিরি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ৩৪১ ফুট। কিলিমাঞ্জারোই আফ্রিকার সর্বোচচ শৃঙ্গ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামিট বেস ক্যাম্প এই পর্বতটিকে বলা হয়। পর্বোতারোহীদের জন্য এটি খুবই বিপদজনক। প্রতিবছর প্রায় ১০-১২ জন মানুষ এখানে মারা যায়।
৪. মাউন্ট সেন্ট হেলেন্স, আমেরিকা: আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতি আর অর্থনৈতিকভাবে বিধংসী অগ্ন্যুতপাত হয় এই পর্বত থেকে। ১৯৮০ সালের এক প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ৫৭ জনের প্রাণহানি হয় সাথে ২৫০ এর মতো বাড়ি ধবংস হয় এবং ১৮৫ মাইল হাইওয়ে ধবংস হয়ে হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচচতা প্রায় ৮ হাজার ৩৬৪ ফুট।
৫. ফুজি পর্বতমালা, জাপান: ফুজি পর্বতমালা জাপানের সর্বোচচ পর্বতমালা। সমুদ্রতল থেকে এর উচ্চতা প্রায় ১২৩৮৯ ফুট । ফুজি একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। সর্বশেষ ১৭ শতকে এতে অগ্ন্যুতপাত হয়েছিলো। মাউন্ট ফুজির জ্বালামুখটি আশ্চর্যরকমভাবে প্রতিসম যা বছরের বেশ কয়েক মাস বরফাচ্ছাদিত থাকে। এটি জাপানের একটি সুপরিচিত প্রতীক এবং জাপানের শিল্পকলা ও স্থিরচিত্রে প্রায়শই এটিকে দেখা যায়। পর্যটক ও পর্বতারোহীদের কাছে মাউন্ট ফুজি একটি জনপ্রিয় স্থান। প্রতি বছর প্রায় ২ লাখেরও বেশি মানুষ চারটি রুটে এই পর্বতে আহোরণ করে।