দুধ গোসলে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
দুধ গোসলে রাজনীতি ছাড়লেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী
অভিনব সিদ্ধান্ত। অভিমানীও বটে। ক্ষোভ আর দুঃখ উগরে দিলেন দুধ গোসলের মাধ্যমে। ঘোষণা দিলেন রাজনীতি ছাড়ার। হয়তোবা কলুষমুক্ত হওয়ার চেষ্টাও। এ ঘটনার জন্ম দিয়েছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার আলেয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রহিজউদ্দিন আকন্দ। সদ্য সমাপ্ত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তবে নির্বাচনে দল তাকে মনোনয়ন দেয়নি। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নির্বাচনে। পরিণামে হন বহিষ্কৃত। তারপরও আশাবাদী ছিলেন রহিজউদ্দিন। পাঁচ বছরে দুইবার শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এবারের নির্বাচনে ১৪৯ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঠিকাদার নুরুল ইসলাম। কিন্ত রহিজউদ্দিন আকন্দের দাবি তিনি পরাজিত হননি। ছিনতাই করা হয়েছে তার বিজয়। আর এ থেকেই ক্ষোভ আর দুঃখে দুধ গোসলের মাধ্যমে রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। দুধ গোসলের পর রহিজউদ্দিন বলেন, গত ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি। দু-দুবার উপজেলার সেরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দলের জন্য অনেক শ্রম দিয়েছি। তারপরও দল আমাকে মনোনয়ন দেয়নি। কিন্তু তাতেও আমার কোনো দুঃখ নেই। জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছে। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম। ফলাফল পালটে দিয়ে ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে অন্যজনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। যে দলের জন্য এত শ্রম দিয়েছি সেই দল থেকে কী পেলাম? সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজনীতি করবো না। তাই দুধ দিয়ে গোসল করে পবিত্র হলাম। নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বো। আর যতটুকু পারি জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবো। প্রসঙ্গত, ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নুরুল ইসলাম পান ৫০৩৯ ভোট আর রহিজউদ্দিন আকন্দ পান ৪৮৯০ ভোট।