দায় বিরোধী নেত্রীকেই নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হরতালের নামে বিরোধীদলীয় নেত্রী সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছেন। হরতালে প্রাণহানির দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
সোমবার খাগড়াছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী শান্তির ভাষা বোঝেন না। উনার নতুন ধারার রাজনীতি হলো, নতুন ভবন খুলে দুর্নীতি করা, নতুনভাবে অত্যাচার-নির্যাতন আর লুটপাট করা। বিএনপির দুই গুণ— দুর্নীতি আর মানুষ খুন।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার রায় এ সরকারের আমলেই কার্যকর করা হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়ার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালাও-পোড়াও করে যুদ্ধাপরাধীদের আপনি বাঁচাতে পারবেন না। এ সরকারের আমলেই রায় কার্যকর করা হবে।’
শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমিবিরোধ নিরসনে শিগগিরই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি চান, আপনাদের সন্তানকে যদি সুশিক্ষিত করে মানুষের মতো মানুষ করতে চান, তাহলে আগামী সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করুন।
আগামীতে সরকার গঠন করলে খাগড়াছড়িতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে তিনি রামগড় উপজেলার জালিয়া পাড়ায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজিবি হাসপাতাল, জেলা সদর আধুনিক ১০০ শয্যার হাসপাতাল ও আবহাওয়া অফিসসহ ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং খাগড়াছড়ি জেলা শহরের জিরো মাইল এলাকায় প্রস্তাবিত বৈদ্যুতিক গ্রিড সাব-স্টেশন, দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ ৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান, খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন গাজী, বদিউল আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ সম্পাদক পরাণ আহমেদ ।