দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন আইন অনুযায়ী নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারবে না

19/12/2013 4:06 pmViews: 10
Nirbachon নিউজ 7বিডিঃ  দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন আইন অনুযায়ী নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কেন্দ্রে অবস্থান করতে পারবে না। শুধুমাত্র ভ্রাম্যমাণ হিসেবে তারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। আর এর ফলে কমে যাবে পর্যবেক্ষকের সংখ্যা।এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী দশম সংসদ নির্বাচনে  কেন্দ্রভিত্তিক স্থায়ী পর্যবেক্ষক থাকার সুযোগ নেই। সেক্ষেত্রে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করলে স্বাভাবিকভাবেই এ সংখ্যা আগে থেকে কমে যাবে।’এছাড়া ভোটের আগে থেকেই দীর্ঘমেয়াদি পর্যবেক্ষকরা মাঠে কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
ইসি সূত্রে জানা যায়, নবম সংসদ নির্বাচনে প্রায় পৌনে দুই লাখ ভোটকক্ষের জন্য সম পরিমাণ পর্যবেক্ষকের কেন্দ্রে অবস্থান করার সুযোগ ছিল। কিন্তু দশম সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ৮৯ হাজার ভোটক্ষের জন্য তার আর সুযোগ নেই।কয়েকজন ইসি কর্মকর্তা জানান, বর্তমানে ১৪৬টি আসনে ভোটকেন্দ্র ১৮ হাজার ১২৩টি এবং ভোটকক্ষ ৯০ হাজার ৭২৪ টি। তবে সেখানে ৯০ হাজার পর্যবেক্ষক না থেকে মাত্র ২৫ হাজারের একটু বেশি পর্যবেক্ষক থাকবে।ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম আসাদুজ্জামান জানান, দশম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এবার ২৩ হাজারের বেশি দেশীয় পর্যবেক্ষক থাকছে। ইডব্লিউজির ২৯টি সংস্থা সহ এ পর্যন্ত ৩৮টি দেশীয় সংস্থা আবেদন করেছে। সেই সঙ্গে বিদেশি পর্যবেক্ষকের আবেদনও এসেছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে বিদেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার মধ্যে ডেমোক্রেসি/ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) সারা দেশে প্রায় সাড়ে ১৩ হাজার ভ্রাম্যমাণ নির্বাচন পর্যবেক্ষক মোতায়েনের জন্য আবেদন করেছিল।

এর আগে নবম সংসদ নির্বাচনে ৭৫টি সংস্থার এক লাখ ৭০ হাজারের মতো স্থানীয় পর্যবেক্ষক ছিল সারাদেশে। ১৭টি দাতা দশে ও সংস্থার বিদেশি পর্যবেক্ষক ছিল অন্তত ৫৮৫ জন। তবে এবার সব মিেিলয়ে প্রায় সোয়া এক লাখের মতো পর্যবেক্ষক নিয়োজিত হচ্ছে বলে জানা যায়।

একটি বেসরকারি সংস্থা ব্রতী’র নির্বাহী পরিচালক শারমিন মুর্শিদ বলেন, ‘ ভোট কেন্দ্রে ভ্রাম্যমাণ পর্যবেক্ষক থাকায় অপেক্ষাকৃত কম লোকবল নিয়োজিত থাকছে। এবারের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। যথাসময়ে পর্যবেক্ষণে যাবো আমরা।’
এদিকে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় দেশিএবং বিদেশি পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলোর নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ (ইডব্লিউজি) নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার বিষয়ে মঙ্গলবার অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছে। বর্তমান সহিংস পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা পর্যবেক্ষণ পাঠাবেন না বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা ডেমোমাক্রেসি ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক তালেয়া রেহমানসহ তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে এ অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন।
ইডব্লিউজির পরিচালক আবদুল আলীম জানিয়েছেন, ১৪৫টি সংসদীয় অসনের নির্বাচনী এলাকায় বর্তমানে তাদের ১৮০ জন পর্যবেক্ষক কাজ করছে। তারা সার্বিক পরিস্থিতির ওপর একটি রিপোর্ট করবে। সেই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচনে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা। সংস্থাটি তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমান পর্যবেক্ষণ নীতিমালা: বর্তমান পর্যবেক্ষণ নীতিমালা অনুযায়ী পর্যবেক্ষকদের বয়স ২৫ বছর হতে হবে। কোনোাভাবেই পর্যবেক্ষকদের স্থায়ীভাভে কেন্দ্রে থাকার সুযোগ নেই। তারা ভ্রাম্যমাণ থাকবে। নিজ নির্বাচনী এলাকায় পর্যবেক্ষণের সুযোগ নেই। নিজ এলাকার বাইরে নিয়োজিত থাকবে। ন্যূনতম শিক্ষাগত  যোগ্যতার পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিচিতদের রাখায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

 

Leave a Reply