দলিল লেখক মুর্শেদের বাহারি প্রতারণা মুরাদনগরে ২ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখার কথা বলে আত্মসাৎ:প্রতারক কারাগারে
দলিল লেখক মুর্শেদের বাহারি প্রতারণা
মুরাদনগরে ২ লাখ টাকা ব্যাংকে রাখার কথা বলে আত্মসাৎ:প্রতারক কারাগারে
দেলোয়ার হোসেন, কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে ব্যাংক একাউন্ট খোলে দেয়ার নামে নিজ একাউন্টের রশিদ দিয়ে কৃষকের ২ লাখ টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগে মুর্শেদ নামের এক দলিল লেখককে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মুর্শেদ ওরফে তকির আহম্মেদ মুরাদনগর সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের দলিল লেখক ও উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ওরফে হবি মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাসে উপজেলার নেয়ামতপুর গ্রামের অদুদ মিয়ার ছেলে কৃষক মফিজ মিয়া একই গ্রামের দলিল লেখক মুর্শেদের কাছে সরল বিশ্বাসে নিজের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসে। তখন মুর্শেদ তার কাছ থেকে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজ ও টাকা নিয়ে তাকে একটি ৫০ হাজার টাকার রশিদ দিয়ে দেয়। একই ভাবে মফিজ তিন মাস পরপর চার বারে দুইটি রশিদ ও দুইটি চেকের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা একাউন্টে রাখার জন্য মুর্শেদকে দেন। গত দু’মাস আগে মফিজের স্ত্রী অসুস্থ্য হয়ে পরলে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করতে মুর্শেদের কাছে গেলে সে নানা বাহানা দেখিয়ে কিছুদিন পরে আসতে বলে। তখন মফিজ মিয়া উপায় না দেখে তাকে দেয়া টাকার রশিদ নিয়ে সোনালী ব্যাংক মুরাদনগর শাখায় গিয়ে টাকা উত্তোলন করতে চাইলে তাকে ব্যাংক কতৃপক্ষ জানায় একাউন্ট নম্বরটি মুর্শেদের নামে এবং এখানে মাত্র ৪ হাজার টাকা রয়েছে। এখবর শুনে পাগল প্রায় কৃষক মফিজ মিয়া তার গ্রামের লোকদের জানালে তারাও মুর্শেদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে কোন উপায় না দেখে মফিজ মিয়া মুরাদনগর থানায় অভিযোগ করলে প্রতারণার দায়ে মুর্শেদকে আটক করে পুলিশ।
খবর নিয়ে আরো জানা যায়, মুর্শেদ বিভিন্ন সময় নানা ভাবে দলিল করে দেয়ার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। কখনো দলিলের শ্রেণী পরিবর্তন করে আবার কখনো দলিল সম্পাদন না করে ভূয়া দলিলের নকল প্রদান করে। এনিয়ে এর আগেও তার বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের বহু অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, এর আগেও মুর্শেদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কারণে তাকে জরিমানাসহ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু এতে সে ভালো হয়নি এখনো দৈনিক দলিল না করে ভূয়া নকল বানিয়ে, দলিলের ধরণ পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎতে অভিযোগ পাই।
মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মনজুর আলম বলেন, মফিজ মিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে মুর্শেদকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
দেলোয়ার হোসেন
মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
মোবাঃ ০১৯১৬-১৪২৯৫৫
তাং ০৭-০৩-২০২০