থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
ঢাকা : থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডস্ট্রি (ডিসিসিআই)।
রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ বোর্ডের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল চোকেডি কেওসাং এর নেতৃত্বে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদল ডিসিসিআইতে সাক্ষাৎ করতে এলে সংগঠনটির সভাপতি হোসেন খালেদ এ আহ্বান জানান।
এসময় ডিসিসিআই ও থাই বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি বাণিজ্য আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ প্রতিনিধিদলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান এবং দুদেশের বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তারা এ সম্পর্ক উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে।
তিনি দুদেশের ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং প্রযুক্তিখাতে আরও সুদৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদেরকে টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ইলেকট্রনিকস, কৃষি ভিত্তিক শিল্প, তথ্য প্রযুক্তি, সিরামিক, হালকা শিল্প, প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত শিল্প, স্টিল, পর্যটন এবং ওষুধ খাতে একক অথবা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।
হোসেন খালেদ জানান, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের পণ্য আমদানিকারক দেশ সমূহের মধ্যে ১৩ তম। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডে ৩৯.৬২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে, এর বিপরীতে ৭৪২.২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে।
প্রতিনিধিদলের নেতা চোকেডি কেওসাং বলেন, বাংলাদেশে থাই বিনিয়োগ বৃদ্ধি করাই হলো এ প্রতিনিধিদলের সফরের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বৃহৎ বাজার ও ভোক্তা শ্রেণি, ভৌগোলিক অবস্থান এবং সুবিধাজনক কর নীতিমালার কারণে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশ বিনিয়োগের উৎকৃষ্ট স্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আরও বেশি ব্রান্ডিং এর উপর গুরুত্ব দিতে হবে যাতে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি বহিঃর্বিশ্বে আরও বৃদ্ধি পায়।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ মুক্ত আলেচনা পর্ব সঞ্চালনা করেন। এসময় ডিসিসিআই পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, খন্দকার আতিক-ই-রাব্বানী, মোক্তার হোসেন চৌধুরী, প্রাক্তন উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হায়দার আহমদ খান ছাড়াও আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে ডিসিসিআই’র সদস্য ও থাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়।