ত্রিমুখী সংঘর্ষে শাবি রণক্ষেত্র, গুলিবিদ্ধ ৩, আহত ২৫
শাবি : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্র শিবিরের এক নেতাকে মারধর ও মোটরবাইকে অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিবির, ছাত্রলীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। সংঘর্ষে তিন শিবির নেতা গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাসসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ প্রায় শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ছাত্রশিবিরের ক্যাম্পাস সভাপতি নাসিম হাসান একাডেমিক ভবন থেকে ক্লাস শেষ করে বের হলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাকে মারধর করে তার মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার পর ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা গোলচত্বরে অবস্থানরত পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শিবিরকর্মীদের উপর হামলা করে।
এ সময় শিবিরকর্মীদের লক্ষ্য করে পুলিশ প্রায় শতাধিক ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে একজন শিবির নেতা আহত হলে ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এ সময় সংঘর্ষের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন বাস, শিক্ষকদের ব্যক্তিগত কারসহ কমপক্ষে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রশিবিরের সভাপতি হোসাইন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে শিবির নেতাকে মারধর করে এবং মোটরবাইকে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে শিবিরকর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের প্রতিহত করে।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. হিমাদ্রী শেখর রায় বলেন, ‘হঠাৎ করে সন্ত্রাসীরা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার জন্য ক্যাম্পাসে মধ্যযুগীয় তা-ব চালায়।’
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় বলেন, ‘একজন আসামিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশে ধরিয়ে দিতে চাইলে আগ থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শিবির কর্মীরা ক্যাম্পাসে ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর করে।’