ত্যাগের মহিমায় উজ্জ্বল ঈদ-উল-আযহা আজ
প্রতিবেদক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুধবার সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কলেমা খচিত পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
রাজধানীতে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রতিমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকগণসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হাফেজ মুফতি মহিবুল্লাহ হিল বাকী নাদভী ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে দেশের অব্যাহত শান্তি ও উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুসল্লীদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এই প্রথম জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। মহিলারাও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায় এবার দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতী ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সরকারের শীর্ষপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কূটনীতিকদের জন্য এ সম্বর্ধনার আয়োজন করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকার, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এম ফারুক খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীগণ সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া সম্বর্ধনায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সম্পাদক, সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানগণও সম্বর্ধনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের স্বাগত জানান, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দরিদ্রসহ সর্বস্তরের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী, মিষ্টান্ন, সেমাই, ফলমূল ও কেক দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, মাগুরা, নড়াইল ও খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
– See more at: http://dailybartoman.com/index.php?page=details&nc=5&news_id=10225#sthash.4roTfOTF.dpuf
প্রতিবেদক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুধবার সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কলেমা খচিত পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
রাজধানীতে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রতিমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকগণসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হাফেজ মুফতি মহিবুল্লাহ হিল বাকী নাদভী ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে দেশের অব্যাহত শান্তি ও উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুসল্লীদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এই প্রথম জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। মহিলারাও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায় এবার দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতী ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সরকারের শীর্ষপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কূটনীতিকদের জন্য এ সম্বর্ধনার আয়োজন করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকার, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এম ফারুক খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীগণ সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া সম্বর্ধনায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সম্পাদক, সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানগণও সম্বর্ধনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের স্বাগত জানান, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দরিদ্রসহ সর্বস্তরের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী, মিষ্টান্ন, সেমাই, ফলমূল ও কেক দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, মাগুরা, নড়াইল ও খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
– See more at: http://dailybartoman.com/index.php?page=details&nc=5&news_id=10225#sthash.4roTfOTF.dpuf
ত্যাগের মহিমায় অনুপম দৃষ্টান্ত নিয়ে মুসলমানদের দ্বারে আবার এসেছে ঈদ-উল-আযহা। আজ বুধবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হবে ঈদ-উল-আযহা। মুসলমানদের অন্যতম প্রধান পবিত্র ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান এটি। ইতোমধ্যে ঈদ-উল-আযহাকে ঘিরে সারাদেশে শুরু হয়েছে আনন্দ ও উৎসবের বন্যা। পাশাপাশি এ ঈদে মুসলমানদের পবিত্র দায়িত্ব হলো আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করা। ঈদের নামাজ শেষেই সবাই মেতে উঠবে পশু কোরবানিতে। ইতোমধ্যে যে যার সাধ্যমতো কোরবানির প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
ঈদে একসঙ্গে পশু কোরবানি করতে ও প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ আনান্দ ভাগাভাগী করে নিতে ইতোমধ্যে রাজধানী ছেড়েছে লাখ লাখ মানুষ। পশু কোরবানি ও ঈদের নামাজের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
ঈদ শব্দের অর্থ উৎসব। ঈদ-উল-আযহা ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটো ধর্মীয় উৎসবের একটি। বাংলাদেশে এই উৎসবটি কোরবানির ঈদ এবং বকরা ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদ-উল-আযহার অর্থ হলো ত্যাগের উৎসব। এটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ত্যাগ করা। এ দিনটিতে মুসলমানরা তাদের সাধ্যমতো ধর্মীয় নিয়মানুযায়ী উট, গরু, দুম্বা কিংবা ছাগল কোরবানি বা জবাই করে থাকে। আল্লাহর আদেশে ইব্রাহিম (আ) আপন পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি করার ঘটনাকে স্মরণ করে সারাবিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা এই দিবসটি পালন করে। হিজরি বর্ষপঞ্জি হিসেবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখ থেকে শুরু করে ১২ তারিখ পর্যন্ত ৩ দিন ধরে ঈদ-উল-আযহা চলে। হিজরি চান্দ্র বছরের গণনা অনুযায়ী ঈদ-উল-ফিতর এবং ঈদ-উল-আযহার মাঝে ২ মাস ১০ দিন ব্যবধান থাকে। দিনের হিসেবে যা সর্বোচ্চ ৭০ দিন হতে পারে। এ হিসেবে ঈদ-উল-ফিতরের পর পরই অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে ঈদ-উল-আযহা।
ইসলামী বিধান মতে যার ওপর যাকাত প্রদান করা ওয়াজিব, তাঁর ওপর ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পশু কোরবানি করাও ওয়াজিব। ঈদ-উল-আযহায় বাংলাদেশের মুসলমানরা বেশিরভাগই সাধারণত গরু বা খাসি কোরবানি করে থাকেন। এক ব্যক্তি একটি গরু বা খাসি কোরবানি করতে পারেন। তবে গরুর ক্ষেত্রে ভাগে কোরবানি করা যায়। নিয়ম অনুযায়ী ৩, ৫ বা ৭ ব্যক্তি একটি গরু কোরবানিতে শরিক হতে পারেন। কোরবানির পর মাংস তিন ভাগে ভাগ করে ১ ভাগ গরিব-মিসকিনদের মধ্যে ও ১ ভাগ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে এবং তৃতীয় ১ ভাগ নিজেদের খাওয়ার বিধান রয়েছে। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির অর্থ সাদকা করে দিতে হয়।
ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তিন দিনের সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া পূজার ছুটি যোগ করে এবার সরকারী ছুটি দাঁড়িয়েছে ৪ দিন। এ ছাড়া সরকারী ছুটির আগে পরে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় আগেভাগেই অনেকে রাজধানী ছেড়ে গেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের চাপ। সড়ক, নৌ, রেলপথগুলো এখন ঘরে ফেরা মানুষের পদচারণায় মুখরিত। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এবারে ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি খুব বেশি নেই। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগী করতে ঘরে ফেরার কষ্ট তাদের কাছে মøান হয়ে পড়েছে।
সরকারের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়েছে সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দের মধ্য দিয়ে ঈদ উৎসব উদযাপনের জন্য সরকারী ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সড়ক সজ্জিত করা, আলোকসজ্জার ব্যবস্থা ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতাল, কারাগার, শিশুসনদ, ছোটমনি নিবাস, সামাজিক প্রতিবন্ধী কেন্দ্র, সরকারী আশ্রম, সেফ হোম, ভবঘুরে কল্যাণ কেন্দ্র ও দুস্থ কল্যাণ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশ করা হবে। ঈদের দিন সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকেটে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন সকল শিশুপার্কে ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিনা টিকেটে ঢাকা যাদুঘরে প্রবেশ এবং প্রদর্শনে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর বাণী
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মহান আল্লাহর প্রতি অপরিসীম আনুগত্যের অনুপম নিদর্শন। মহান আল্লাহর নির্দেশে হযরত ইব্রাহিম (আ) প্রাণপ্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আ) কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে আল্লাহর প্রতি যে আনুগত্য ও ভক্তি প্রদর্শন করেছেন তা অতুলনীয়। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ববাসীর কাছে এ ত্যাগ চির সমুজ্জ্বল ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। একটি শান্তিপূর্ণ ও সহনশীল সমাজ বিনির্মাণে ধৈর্য ও সহনশীলতা অপরিহার্য। পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মহান আদর্শ ও শিক্ষাকে আমাদের চিন্তা ও কর্মে প্রতিফলিত করতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-আযহা মুসলিম জাতির ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও সুসংহত করবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, প্রিয়বস্তুকে মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি লাভের যে অনুপম দৃষ্টান্ত হযরত ইব্রাহিম (আ) স্থাপন করে গেছেন, তা বিশ্ববাসীর জন্য চিরকালই অনুকরণীয় ও অনুসরণীয়। তিনি বলেন, এই উৎসবের মধ্য দিয়ে সামর্থ্যবান মুসলমানরা কোরবানিকৃত পশুর মাংস আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে প্রকারান্তরে সকলের মধ্যে সমতা প্রতিবিধান এবং সহমর্মিতা অনুশীলন করে থাকেন। তিনি পবিত্র ঈদ-উল-আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কর্মকা-ে অংশ নিয়ে বিভেদ-বৈষম্যহীন এক সুখী-সমৃদ্ধ শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেত্রীর কর্মসূচী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-উল-আযহার দিন দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কূটনৈতিক, বিচারপতি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। সকাল ৯টায় গণভবনের লনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রী প্রথমে দলের নেতাকর্মী, পেশাজীবী, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। পরে সকাল ১১টায় একই স্থানে তিনি কূটনৈতিক এবং সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে তার প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন।
সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। ১১টায় তিনি বিদেশী কূটনৈতিক, রাজনীতিবিদ, দলীয় নেতকর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহের প্রস্তুতি
অন্যবারের ন্যায় দেশের প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকুলে থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী জামায়াতের ইমামতি করবেন। ইতোমধ্যে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিগত বছরের ন্যায় এ বছরের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদের জন্য জাতীয় ঈদগাহের দক্ষিণ দিকে আলাদা প্রবেশপথসহ পৃথক জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররমে জাতীয় মসজিদে ঈদ জামাতের সময়সূচী
অন্যবারের ন্যায় এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এখানে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মিযানুর রহমান। এ ছাড়া বায়তুল মোকারমের দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়, পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১১টায়। ঈদের জামাতগুলোর ইমামতি করবেন পর্যায়ক্রমে হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, দুর্বাটি আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম আল মারূফ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুর রব মিয়া বাগদাদী ও মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল হক।
ঢাকার প্রধান প্রধান ঈদের জামাতসমূহ
সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা ॥ নয়াপল্টন জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলার মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মদপুর জাতীয় মসজিদ কমপ্লেক্সে ৭.৪৫টায়, গে-ারিয়া ধূপখোলা ময়দানে সকাল ৭.৪৫টায়, খিলক্ষেত কুর্মিটোলা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে প্রথম জামাত ৭.৩০টায়, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেট মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়, পরিবাগ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায়, পল্লীমা সংসদ ময়দানে সাড়ে ৭টায়, মিয়া সাহেব ময়দান খানকা শরীফ জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, মোহাম্মপুর কৃষিবাজার তাহেরীয়া জামে মসজিদে সাড়ে ৭টায়, হাজারীবাগ পার্ক মাঠে প্রথম জামাত সাড়ে ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৮টা ॥ নীলক্ষেত বাবুপুরা শাহ সাহেব বাড়ি মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদে প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, আবুজর গিফারি কলেজ মাঠে সকাল ৮টায় (মহিলাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে), খিলগাঁও সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল ৮টায়, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন প্লাটফরম সকাল ৮টায়, বাসাবো খেলার মাঠে সকাল ৮টায়, দেওয়ানবাগ দরবার শরীফের বাবে রহমতের প্রথম জামাত সকাল ৮টায়, ধানম-ি ঈদগাহ জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, খিলক্ষেত কুর্মিটোলা হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জামাত ৮.১৫টায়, মিরপুর হারুন মোল্লা ঈদগাহ, পার্ক ও খেলার মাঠে সকাল ৮টায়, মগবাজার বিটিসিএল কলোনি জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, সিদ্ধেশ্বরী হাইস্কুল জামে মসজিদে সকাল ৮টায়, লক্ষ্মীবাজার নূরানী জামে মসজিদে ৮টায়, মতিঝিল মসজিদ ওয়াকফ এস্টেটে ৮টায়, হাজারীবাগ পার্ক মাঠে দ্বিতীয় জামাত সাড়ে ৮.১৫টায় অনুষ্ঠিত হবে।
সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা ॥ নীলক্ষেত বাবুপুরা শাহ সাহেব বাড়ি মরিয়ম বিবি শাহী মসজিদে দ্বিতীয় জামাত সকাল ১০টায়, দেয়ানবাগ দরবার শরীফের বাবে রহমতের দ্বিতীয় ও তৃতীয় জামাত সকাল ৯ ও ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে।
আহলে হাদিস
পুরান ঢাকাসহ এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় ঈদ-উল-আযহার উপলক্ষে আহলে হাদিসের প্রধান জামাত সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় খেলার মাঠে বংশাল বড় জামে মসজিদ কমিটির ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে। এতে খুতবা প্রদান ও ইমামতি করবেন বাংলাদেশ জমঈয়তে আহলে হাদিসের সহসভাপতি, বংশাল বড় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা জিল্লুল বাসেত। এই জামাতে রাজধানীর পুরান ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার লোক সমাগম হবে বলে আহলে হাদিস ঈদ জামাত কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আওলাদ হোসেন জানান।
প্রতিবেদক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুধবার সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কলেমা খচিত পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
রাজধানীতে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রতিমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকগণসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হাফেজ মুফতি মহিবুল্লাহ হিল বাকী নাদভী ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে দেশের অব্যাহত শান্তি ও উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুসল্লীদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এই প্রথম জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। মহিলারাও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায় এবার দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতী ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সরকারের শীর্ষপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কূটনীতিকদের জন্য এ সম্বর্ধনার আয়োজন করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকার, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এম ফারুক খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীগণ সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া সম্বর্ধনায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সম্পাদক, সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানগণও সম্বর্ধনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের স্বাগত জানান, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দরিদ্রসহ সর্বস্তরের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী, মিষ্টান্ন, সেমাই, ফলমূল ও কেক দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, মাগুরা, নড়াইল ও খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
– See more at: http://dailybartoman.com/index.php?page=details&nc=5&news_id=10225#sthash.4roTfOTF.dpuf
প্রতিবেদক : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বুধবার সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কলেমা খচিত পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়।
রাজধানীতে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রতিমন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকগণসহ সর্বস্তরের জনগণ জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইমাম হাফেজ মুফতি মহিবুল্লাহ হিল বাকী নাদভী ঈদের নামাজে ইমামতি করেন।
জাতীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে দেশের অব্যাহত শান্তি ও উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজের পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মুসল্লীদের সাথে ঈদের কুশল বিনিময় করেন।
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (দক্ষিণ) তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত ঈদের এই প্রথম জামাতে মহিলা ও বিদেশী কূটনীতিকদের নামাজ আদায়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। মহিলারাও জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করেন। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ৫টি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টায়।
এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়ায় এবার দেশের বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত ১৮৬তম জামাতে ইমামতি করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতী ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তাঁর সহধর্মিনী রাশিদা খানম, সরকারের শীর্ষপর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কূটনীতিকদের জন্য এ সম্বর্ধনার আয়োজন করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খোন্দকার, আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী এম ফারুক খান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ মন্ত্রীবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রীগণ সম্বর্ধনায় যোগ দেন।
এ ছাড়া সম্বর্ধনায় যোগ দেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারগণ, সংসদ সদস্যগণ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সম্পাদক, সচিব, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষাবিদ, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সিনিয়র সাংবাদিক, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানগণও সম্বর্ধনায় অংশ নেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের স্বাগত জানান, ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং তাদের সমৃদ্ধ জীবন কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং দরিদ্রসহ সর্বস্তরের জনগণ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তিন বাহিনী প্রধান এবং বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী, মিষ্টান্ন, সেমাই, ফলমূল ও কেক দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকাস্থ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, বিশিষ্ট নাগরিক এবং সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রতিনিধি ও সংবাদদাতারা জানান, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, সিলেট, টাঙ্গাইল, মাগুরা, নড়াইল ও খাগড়াছড়িতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
– See more at: http://dailybartoman.com/index.php?page=details&nc=5&news_id=10225#sthash.4roTfOTF.dpuf