তেলের ড্রামে কোকেন: আমদানিকারক নূর মোহাম্মদ গ্রেফতার
র্যাব-৭ এর সদর দফতরে শুক্রবার দিনের কোনো এক সময় ‘ডেকে নেয়ার’ পর তাকে ‘গ্রেফতার’ করে আদালতে হাজির করা হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গত ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।
বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।
পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বন্দরের পরীক্ষায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, নূর মোহাম্মদকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে, রোববার শুনানি হওয়ার কথা। শুক্রবার বিকালে আদালতের নির্দেশের পর নূর মোহাম্মদকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তবে এ বিষয়ে র্যাবের শীর্ষ কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মামলায় পুলিশের অভিযোগপত্রভুক্ত আটজন হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা সোহেল, মো. মোস্তফা কামাল, আইটি বিশেষজ্ঞ মেহেদী আলম, গার্মেন্ট পণ্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী মো. আতিকুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, কসকো বাংলাদেশ শিপিং লাইনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক (করপোরেট, বিক্রয় ও বিপণন) এ কে আজাদ এবং যুক্তরাজ্যের দুই নাগরিক ফজলুর রহমান ও বকুল মিয়া।
তাদের মধ্যে যুক্তরাজ্যের নাগরিক ফজলুর ও বকুল পলাতক রয়েছেন। সাইফুল গত ২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের আদেশে কারামুক্ত হন