তুরস্কে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কেউ, দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে ভোট, যদিও প্রথম দফায় এরদোগানই বেশি ভোট পেয়েছেন।
রস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েফ এরদোগান এগিয়ে আছেন। ভোট গণনা শেষে তিনি ৪৯.৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছেন ৪৪.৭৯ শতাংশ ভোট। অর্থাৎ প্রায় ৫ শতাংশ ভোট বেশি পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন এরদোগান। কিন্তু তিনি নিজেও ৫০ শতাংশ ভোট নিশ্চিত করতে না পারায় এই নির্বাচন এখন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে যাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, তুরস্কের আইন অনুযায়ী কোন প্রার্থীই ৫০ শতাংশ ভোট না পেলে দুই সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আঙ্কারায় নিজের সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোগান বলেছেন যে, প্রয়োজন হলে তিনি দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে, তিনি জয় পাবেন। এদিকে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কামালও। তিনি বলেছেন, তার প্রতিদ্বন্দ্বী মানুষের আস্থা ভোট অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন।
তুরস্কের কিছু দিন আগে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্প এবং বাড়তি মুদ্রাস্ফীতির মধ্যেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। এরদোগান ও কামাল ছাড়াও তৃতীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিনান ওগান ৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন করবেন এরদোগান ও কামাল। তাই সিনানের এই ৫ শতাংশ ভোটারকে তিনি যেদিকে ভোট দিতে বলবেন তিনিই নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিনান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তিনি আগামী কিছুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেবেন। এ জন্য তিনি তার জোটের নেতাদের সাথে আলাপ করবেন। তারপরেই তিনি একটি সিদ্ধান্ত নেবেন।
তুরস্কে ৬ কোটি ৪০ লাখ ভোটার নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে ৫০ লাখ হচ্ছেন নতুন ভোটার, যাদের বয়স ১৮ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তারা প্রথমবারের মত ভোট দিয়েছেন।