তুরস্কের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে একেপি

08/06/2015 10:35 amViews: 4
তুরস্কের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে একেপি

: ০৮ জুন, ২০১৫

নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান

তুরস্কের  সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি)। এখনো চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা না হলেও ১৩ বছরের মধ্যে এবারই তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাচ্ছে। কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নতুন নির্বাচন হওয়ার পূর্ভাবাস মিলেছে।

সংবাদ সংস্থা আনাতোলিয়ার জানায়, গণনা করা ৯৯ শতাংশ ভোটের মধ্যে ৪১ শতাংশ ভোট পেয়েছে একেপি। বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টি ২৫ শতাংশ এবং ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি ১৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। বিরোধী দল এটাকে তাদের জন্য বিরাট বিজয় মনে করছে।

প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাতুভলু বলেছেন, জনগণের সিদ্ধান্তই সবচেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত। এই রায় মেনে নেয়া সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব।

উল্লেখ্য, ৫৫০টি আসনের মধ্যে একক সংখ্যাগরিষ্ঠা পেতে হলে ২৭৬ আসন পেতে হয়। কিন্তু একেপি পেয়েছে ২৫৮টি আসন। কোয়ালিশন সরকার গঠন করতে হলে তাদেরকে আরো ১৮টি আসন পেতে হবে। রিপাবলিকান পিপলস পার্টি পেয়েছে ১৩২টি আসন। ন্যাশনাল মুভমেন্ট পার্টি পেয়েছে ৮১টি আসন। ১২ শতাংশ ভোট নিয়ে প্রো-কুর্দিশ পার্টি পেয়েছে ৭৯টি আসন।

এই নির্বাচন কুর্দিদের জন্য বিশেষ সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে। আগে কখনো তারা জাতীয় নির্বাচনে এমন সাফল্য পায়নি।

তবে এবারই দলটি সবচেয়ে বড় নির্বাচনী চ্যালেঞ্জে পড়েছে। এরদোগান ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ক্ষমতায় এসেছিলেন।

এ ফলাফলের কারণে রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রেসিডেন্ট শাসিত করার পরিকল্পনা ভেস্তে গেলো এরদোগানের। তাছাড়া, এখন সরকার গঠনে সমমনা কোনো দলের দ্বারস্থও হতে হবে একেপিকে।

এখন এরদোয়ানের একেপিকে সরকার গঠনের জন্য সমমনা কোনো দলের সঙ্গেই জোট বাঁধতে হবে। তবে, এরদোয়ানের সমালোচক দলগুলো কোনো ধরনের জোট সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছে।

রোববার  স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হয় ভোট গণনা।

২০০৩ সালে ক্ষমতায় আসার পর দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে এখন প্রেসিডেন্টের কুরসিতে আসীন এরদোয়ান তুরস্ককে প্রেসিডেন্ট শাসিত রাষ্ট্রে পরিণত করতে ৯২ বছরের পুরোনো সংবিধান পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন। এজন্য সংসদের ৫৫০ আসনের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন ছিল।

Leave a Reply