তিস্তা চুক্তির মূল বাধা অপসারিত হয়েছে
তিস্তা চুক্তি নিয়ে মূল বাধা অপসারিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। তিনি বলেন, মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় আসতে চাচ্ছিলেন না। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা ব্যানার্জির ঢাকা সফরের ফলে তিস্তা চুক্তি নিয়ে মূল বাধা অপসারিত হয়েছে। এখন বিষয়টি সময়ের ব্যাপার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তবে তিনি বলেন, তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট টাইমফ্রেম (সময়সীমা) দেয়া যাবে না।
রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী নরেন্দ্র মোদির এ সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে তিস্তা চুক্তি কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে একটি সময়সীমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু বলেন, তিস্তা চুক্তি সম্পাদনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকা উচিত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এ সফরে বাংলাদেশ কতটা লাভবান হয়েছে সে বিষয়ে বাংলাদেশ সংলাপের এ অনুষ্ঠানে বিতর্ক হয়।
মোদির বাংলাদেশ সফরে ২২টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হলেও সেখানে তিস্তার পানিবণ্টন যে থাকছে না সেটি আগেই নিশ্চিত করা হয়েছিল। কবে নাগাদ এ চুক্তি হবে সে বিষয়ে ভারতের দিক থেকে এখন সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি। শুধু রয়েছে আশ্বাস, যেটি গত পাঁচ বছর ধরেই ভারত বাংলাদেশকে দিচ্ছে।
অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক আমেনা মহসিন বলেন, ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তোলার স্বার্থেই ভারতের উচিত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি অতি দ্রুত সম্পাদন করা। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন বড় শক্তি হতে চান, তখন স্বচ্ছ ইমেজ নিয়ে আগাতে হবে। প্রতিবেশীকে বঞ্চিত করে সেই স্বচ্ছ ইমেজ গড়ে তুলতে পারবেন না।’ গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান মনে করেন ভারতকে সুবিধা দেয়ার বিনিময়ে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে কতটা লাভবান হচ্ছে তার উপরে নির্ভর করছে চুক্তির সফলতা।
সিপিডি নির্বাহী পরিচালক বলেন, কোনো ধরনের সার্ভিস চার্জ আমরা নেব, কোনো ধরনের সারচার্জ আমরা আরোপ করব, এ জিনিসগুলো যদি আমরা স্মার্টলি করতে পারি তাহলে বাংলাদেশের জন্য এটা উপকারী হতে পারে।