তিল থেকে হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার!
ঠোঁটের ঠিক উপরে কিংবা ঠিক নিচে একটি তিল বাড়িয়ে দিতে পারে নারীর মুখের সৌন্দর্য। মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের কথা মনে আছে নিশ্চয়! পাশের বাড়ির মেয়ে সুচিত্রা।যার মুখের ডানপাশে থুতনির একটু উপরে একটি তিল! কী সুন্দরই না লাগত তাকে! সৌন্দর্য যেনো হাজার গুণ বাড়িয়েছিলো ওই একটি তিল।
কিন্তু শঙ্কার কথা হলো- এই তিলই নাকি ডেকে আনতে পারে চরম সর্বনাশ। নারীদের শরীরে তিলের সংখ্যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের আভাস দিতে পারে। এমন তথ্যই আবিষ্কার করেছেন কয়েকজন মার্কিন এবং ফরাসি বিজ্ঞানী।
সেই গবেষণা অনুযায়ী, কোনো নারীর ১৫টি বা তার বেশি তিল থাকলে তার ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় প্রায় ৩৫%। যদিও এখনই চূড়ান্তভাবে কিছুই বলার সময় আসেনি। তবুও বিজ্ঞানিরা ইস্ট্রোজেনের যুক্তি দেখিয়েছেন তাদের দাবির ক্ষেত্রে। আর ইস্ট্রোজেন হরমোন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্রেস্ট ক্যান্সার বৃদ্ধির জন্যে দায়ী। শুধু তাই নয়, প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে, শরীরে তিলের আধিক্যও দেখা যায় এই হরমোনের জন্যেই।
গবেষণাটি শুরু হয় ১৯৮৬ সাল থেকে। মূলত ৪০-৬৫ বছর বয়সী নারীদের উপরেই করা হয়েছিল এই সমীক্ষা। যাদের শরীরে ১৫-র কম তিল ছিল তাদের মধ্যে ৮.৫ শতাংশের ব্রেস্ট ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। অন্যদিকে যাদের শরীরে তিলের সংখ্যা ১৫ বা তার বেশি ছিল, তাদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারের রেট প্রায় ১১.৪ শতাংশ।
ইন্ডিয়ানাপলিসের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি সিমোন ক্যান্সার সেন্টার-র জিয়ালি হান-এর গবেষণার দলটি অবশ্য আরো অনেকগুলি বিষয়ের দিকে নজর রেখেছেন। তার মধ্যে রয়েছে বয়স, লাইফস্টাইল, দৈনন্দিন অভ্যেস, ওজন, স্কিন টোন এবং সান এক্সপোজার। কারণ যারা ফর্সা, এবং তাড়াতাড়ি সানবার্ন হয়, তাদের ক্ষেত্রে তিলের সংখ্যাটা অবশ্যই বেশি থাকে।
অন্যদিকে ফরাসি নারীদের উপর করা গবেষণা অনুযায়ী তিলের সঙ্গে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্পর্ক সেখানেই প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে যেখানে মেনোপজের আগে ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়েছে।
মার্কিন গবেষণায় আরো দেখা যায়, যে সব নারীদের শরীরে তিলের সংখ্যা বেশি তাদের ইস্ট্রোজেন এবং টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রাও অনেক বেশি। যা ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়।