তিতাসে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা নিহত

16/05/2015 11:01 amViews: 13

তিতাসে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে বন্দুকযুদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা নিহত

আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের গোলাগুলিতে কুমিল্লার তিতাসে ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১৫ জন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-হোমনা-কুমিল্লা সড়কের কড়িকান্দি বাসস্টেশনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার জের ধরে গতকাল সকাল থেকে ঢাকা-হোমনা-কুমিল্লা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে দলীয় নেতাকর্মীরা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাবু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদার গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে বুধবার দুপুরে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকাবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার ঢাকা-হোমনা-কুমিল্লা সড়কের কড়িকান্দি বাসস্টেশনে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গভীর রাতে গোলাগুলিতে এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রলীগের মাসুম সরকার, লিটন, রমজান ও কামরুল গুলিবিদ্ধ হয়। হামলায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসের ধাক্কায় ছাত্রলীগের শেখ সাদী, রুবেল হোসেন, রকিব হোসেন, মামুন হোসেন, শাহিন মিয়া, আক্তার হোসেন, তৌফিক, জাদু, খোরশেদ আলম, সুমন আহমেদ, মুকুল হোসেন, শাহ আলম, সজিব আহমেদ, ইয়াছিন, জহিরুল ইসলাম, হারুন মিয়া, হোসেন, জুয়েল আহত হলে তাদেরকে তিতাস স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে লিটন, সুমন, রমজান, জহিরুল ইসলাম ছাড়া বাকিদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় সারোয়ার হোসেন বাবু বাদী হয়ে বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা করেছেন।
এদিকে গতকাল ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন গুলিবিদ্ধ কুমিল্লা (উত্তর) জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও তিতাসের জগতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন সেলিমের ছেলে মাসুম সরকার (৩৫)। তার মৃত্যুতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সকাল থেকে ঢাকা-হোমনা-কুমিল্লা সড়ক এবং দুপুর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুরে অংশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে সারোয়ার হোসেন বাবু বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান ও তার লোকজন গভীর রাতে আমার লোকজনদের ওপর হামলা চালিয়ে গুলি করে এবং একপর্যায়ে হামলায় ব্যবহৃত গাড়ি আমার লোকজনদের উপর তুলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের প্রায় ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং পরে মাসুম মারা যায়। ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, রাতের গভীরে কে কোথায় থাকে, কে বা কার গাড়ি তাদের ওপর তুলে দেয়া হয়েছে এটা তো আমার জানার কথা নয়। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিতাস থানার ওসি তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ দু’গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।

Leave a Reply