তারেক রহমানের দেশে ফেরা ও মামলা সম্পর্কে যা বললেন : কায়সার কামাল
উপযুক্ত সময়েই তিনি দেশে আসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন : কায়সার কামাল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, অর্থপাচার মামলাসহ পাঁচটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আরো অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের পর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এবং পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা সরকারের সময় তার বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের এই শীর্ষ নেতার দেশে ফেরা এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো নিয়ে চলছে আলোচনা।
তবে তারেক রহমানের আইনজীবীরা বলছেন, তিনি ওয়ান ইলেভেনের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের নিপীড়নের শিকার। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রায় শতাধিক মামলার মধ্যে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো বেশ কয়েকটি মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এসব মামলায় বিচারের নামে প্রহসন করে তারেক রহমানের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনে একটি অন্তর্বর্তী সরকার কায়েম হয়েছে। সেই সরকার আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করবে। আর আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ন্যায় বিচার পাবেন। তারেক রহমান ন্যায় বিচার পাবেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার পাবেন এবং দল হিসেবে বিএনপি ন্যায় বিচার পাবে।
অপর দিকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মামলা দায়ের করা হয়। শেখ হাসিনার নির্দেশে কয়েকটি মামলায় তার বিরুদ্ধে সাজার রায় ঘোষণা করা হলেও তিনি কোনো সুবিধা বা আনুকূল্য নিয়ে নয়; বরং আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমেই মামলাগুলো মোকাবেলা করবেন এবং তিনি এসব থেকে মুক্ত হবেন বলে মনে করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
তারেক রহমান কখন দেশে ফিরে আসতে পারেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলার সাথে তারেক রহমানের দেশে আসা বা না আসার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তিনি এ দেশের নাগরিক। তারেক রহমানের দেশে আসাটা উনার ব্যক্তিগত বিষয় এবং একই সাথে উনার চিকিৎসা এবং রাজনৈতিক বিষয় আছে বলে তার আইনজীবী কায়সার কামাল মনে করেন। তিনি বলেন, দেশে আসার ব্যাপারে উপযুক্ত সময়েই তিনি যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে দেশের মানুষের একটা আগ্রহ আছে যে উনি দেশে আসুন। এ দেশের লাখো কোটি বিএনপি নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভাকাক্সক্ষীর প্রত্যাশা আছে, তারা দিন গুনছে, প্রহর গুনছে তাদের প্রিয় নেতা তারেক রহমানের দেশে আসার।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশির ভাগ মামলা পরিচালনা করেন তার আইনজীবী ও বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, যারা ওয়ান ইলেভেন সংঘটিত করেছিল তাদের দ্বারা জিয়া পরিবার নানাভাবে আক্রান্ত হয়। সে সময় তারেক রহমানকে কোনো মামলা ছাড়াই গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭টি মামলার দেয়া হয়, যার প্রতিটি মামলাই আদালত স্থগিত করেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় উনাকে রিমান্ডের নামে টর্চার করা হয়। টর্চারের মাত্রা এমন ছিল যে উনাকে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এর আগে প্রায় ৯ মাস তিনি বিনা চিকিৎসায় ছিলেন। পরবর্তী সময়ে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসা পান। এরপর ২০০৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পান। ১৭ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি ইংল্যান্ডে যান। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই তিনি চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি চলছে। বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, কুখ্যাত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে সাজা দিয়েছে শেখ হাসিনা, সম্পূর্ণ তার একক ইচ্ছায়। ২০০৪ সালে যখন এই মামলা করা হয় তখন তারেক রহমানের নাম এফআইআরে ছিল না। একে একে তিনটি চার্জশিট দেয়া হলো। এমনকি যে ১/১১ সরকার তারেক রহমানকে নির্যাতন করেছে তারাও যে চার্জশিট জমা দেয় সেটিতেও তারেক রহমানের নাম ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন ২১ আগস্টের ঘটনায় তারেক রহমান জড়িত; তাকে শাস্তি দেয়া হবে, তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। তখন শেখ হাসিনার কথাই ছিল আইন। তার নির্দেশে নিম্ন আদালতে মামলার আবার পুনঃতদন্ত শুরু হয় এবং এই পুনঃতদন্ত দায়িত্ব দেয়া হয় একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবদুল কাহহার আকন্দকে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে তাকে পুরস্কৃত করা হয়। সেই কাহার আকন্দ একটি আষাঢ়ে গল্প সাজালেন।
সেই গল্পের মধ্যে চার্জশিটের ২১৭ পৃষ্ঠার একটি লাইন বা দেড় লাইন লিখে দিলেন। তার ভাষ্যমতে মুফতি আবদুল হান্নান, হারিস চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টুসহ হাওয়া ভবনে গেলেন। গিয়ে ওখানে তারেক রহমানের সাথে দেখা করলেন। তারেক রহমান তাকে দেখার প্রেক্ষিতে বলেন, আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন। এই একটা লাইন। মুফতি হান্নানকে ১৬৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে এই এক লাইনের স্বীকারোক্তি বের করেন। স্বীকারোক্তি দেয়ার পর মুফতি হান্নানকে জেলখানায় পাঠানো হয়। জেলখানায় গিয়েই মুফতি হান্নান বললেন আমাকে ১৬৭ দিন টর্চার করে স্বীকারোক্তি নিয়েছে। আমি সেটি প্রত্যাহার করতে চাই। সেই প্রত্যাহারের আবেদন এখনো আছে। এই যে এক লাইনের স্বীকারোক্তি দিয়ে সম্পূরক চার্জশিট দিলো তারেক রহমানের নামও মামলায় ঢোকানো হলো। বিচার শুরু হলো, এই বিচারের প্রধান সাক্ষী মুফতি হান্নান। তার স্বীকারোক্তির মাধ্যমে তারেক রহমানকে আসামি করা হলো। তারা দেখল যে, মুফতি হান্নানকে যদি জেরায় আনি তাহলে তো সত্য বেরিয়ে যাবে। যে কারণে শেখ হাসিনা নির্দেশ দিলো, তাকে ফাঁসি দেয়া হলো। তিনি বলেন, দেশে আইনের শাসন না থাকায় এসব করতে পেরেছে। আমরা মনে করি, এখন দেশে আইনের শাসন কায়েম করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অবশ্যই আইনগতভাবে আমরা এই মামলাটা মোকাবেলা করব। তিনি বলেন, এই মামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করা হোক। কারণ এটা জাতির জন্য একটা কলঙ্কজনক। তৎকালীন সময় বিরোধীদলীয় নেত্রী বা আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা হবে এটা কেউ প্রত্যাশা করে না। এটা একটা কলঙ্ক। সেই কলঙ্কের নায়ক কারা, নায়িকা কারা সেটি জাতি জানতে চায়। প্রকৃত দোষী যারা তাদের বিচারটা হওয়া উচিত দেশের স্বার্থে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা : ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া দুই কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থ ট্রাস্টের কাজে ব্যবহার করা হয়নি; বরং সেই টাকা নিজেদের হিসাবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। একই সাথে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এ মামলার বিষয়ে বিএনপির আইন সম্পাদক বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ ছিল। এই টাকা ব্যাংকে ছিল। সেখান থেকে একটি টাকাও নেয়া হয়নি। দীর্ঘ দিন ব্যাংকে থাকার কারণে সেই টাকা বেড়ে এখন ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা হয়েছে। এখনো এই টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত আছে। এই মামলায়ও তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয়েছে। এটাও আমরা আইনগতভাবে মোকাবেলা করব।
তিনি আরো বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে হওয়া ১৭টি মামলার মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় সাজা হয়েছে। এ ছাড়া করফাঁকি, চাঁদাবাজির বাকি ১৫টি মামলা স্থগিত রয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মামলায় কারাদণ্ড : ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের আমলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা: জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলাটি করে দুদক। অভিযোগ ছিল তারেক ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে। এ মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলার বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, দুদকের করা এই মামলায় ২০২৩ সালে একটি রায় ঘোষণা করা হয়। রাত ৯টা পর্যন্ত মোমবাতি জালিয়ে সাক্ষ্য নেয়া হয়। তিনি বলেন, এই রায় আইনের রায় না, আদালতের রায় না। এটা ছিল ফরমায়েশি রায়। এই মামলায় ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষী নিয়ে ট্রায়াল শেষ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল তাড়াহুড়া করে তারেক রহমানকে একটা সাজা দেয়া। এইভাবে প্রত্যেকটা জায়গায় বিচারের নামে প্রহসন করা হয়েছে।
অর্থপাচার মামলা : ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেয়। বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। ২০১৬ সালে বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার বলেন, সারা বিশ্ব জানে মানিলন্ডারিং মামলায় ট্রায়াল কোর্ট যদি খালাস দেয়, মিলিয়নে একটাও নেই যে তার বিরুদ্ধে আপিল করে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এই প্রথম তারেক রহমানকে খালাসের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এ মামলায় ট্রায়াল কোর্টের বিচারক বলেছেন, সবকিছু দেখে একটা অক্ষরও নেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। এই মামলায় যে বিচারক ট্রায়াল করেছিলেন তিনি সম্প্রতি সাক্ষাৎকার বলেছেন যে, তাকে পিস্তল ধরা হয়েছে। এমনকি তথাকথিত এফবিআইর এজেন্ট আনেন শেখ হাসিনা। সেই এফবিআইয়ের এজেন্টও তারেক রহমানের নাম বলেননি। তারপর উনাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ মামলায় সাত বছরের সাজা দেয়া হয়।
মানহানির মামলায় দণ্ড : ২০১৪ সালে লন্ডনে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নড়াইলের আদালত। কায়সার কামাল জানান, নড়াইল ছাড়াও সারা দেশে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ৬০টির মতো মানহানির মামলা দায়ের করা হয়। তিনি বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে নজির নেই কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির বক্তব্য প্রচার বন্ধ করার জন্য উচ্চ আদালতের আশ্রয় নেয়া হয়। হাইকোর্ট থেকে আদেশ নেয়া হয় যেন তার বক্তব্য কেউ প্রচার করতে না পারে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যাদেরকে দিয়ে মামলা করেছিলেন তারা স্বেচ্ছায় মামলা প্রত্যাহার করেছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা : তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও রয়েছে। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় তাকে এবং একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ওই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির অভিযোগে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, মানহানি মামলাসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট মামলার সংখ্যা হবে ৮০ থেকে ৮২টি। এর মধ্যে মানহানির মামলা অন্তত ৬০টি। তিনি বলেন, আইনগত পদক্ষেপের মাধ্যমেই তারেক রহমান তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো তিনি মোকাবেলা করবেন এবং মুক্ত হবেন।