তাদের কথায় বুঝা যায় ভারতের অনুকূলেই সরকার টিকে আছে: ফখরুল
তাদের কথায় বুঝা যায় ভারতের অনুকূলেই সরকার টিকে আছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই সরকার হচ্ছে একটা লুটেরা সরকার। এই সরকারের সঙ্গে মানুষের কোন সম্পর্ক নেই। এই সরকার রাষ্ট্রকে ইতিমধ্যে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। যার প্রমাণ তারা একে একে দিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে এবং নিজেদেরকে স্বাধীন হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে তখন আওয়ামী সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত সরকারকে আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য, এর অর্থ হচ্ছে তারা এই কথা বলতে চান-ভারত সরকারের অনুকূলেই এই সরকার টিকে আছে।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালকেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছিলাম কিন্তু ব্যাখ্যা তারা দেয়নি। অথচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার জায়গা থেকে সরে আসেনি। তিনি একটা বক্তব্য দিয়েছেন সেই বক্তব্যে তিনি আবার ওইটাই এন শিওর করেছেন। তাই আমাদেরকে বুঝে নিতে হবে পরিষ্কার ভাষায় যারা অন্যের অনুকূল্যে টিকে থাকে তাদেরকে এই দেশের সরকার পরিচালনা ও শাসন করবার কোন অধিকার নেই।’
তিনি বলেন, এখন আর কোন নির্বাচনের কথা নয়। এখন আর ঘুম পাড়ানির কোন কথা নয়। এখন একটা মাত্র দাবি এই সরকার কবে যাবে।
তাই আমরা বলেছি সবার আগে গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। তারেক রহমান সহ ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং নতুন নির্বাচন কমিশনের মধ্য দিয়ে একটি জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল একটি পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, একটি গণমাধ্যমে পরিষ্কার করে উঠে এসেছে গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা পরিচালিত আয়না ঘর নামে একটি টর্চার সেল আছে, সেই ছেলে আমাদের নেতা কর্মী মানুষদেরকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়, টর্চার করা হয় দিনের পর দিন মাসের পর মাস কাউকে সেখানে মেরে ফেলা হয় আবার কাউকে কাউকে বছরের পর বছর সেখানে রেখে দেওয়া হয়। এবং যারা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছেন তারা ভাগ্য প্রবাসী স্টেটমেন্টগুলো এখন দিচ্ছেন, কথা বলতে শুরু করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে স্থায়ীভাবে একটি অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। এটা আমার কথা নয় এটা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা যিনি গণতন্ত্রের জন্য আজও বন্দি হয়ে আছে। তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে ব্যর্থ রাষ্ট্র করা হচ্ছে এখন তাই হচ্ছে। প্রত্যেকবার নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোট দেয়ার জন্য লড়াই করতে হবে, সংগ্রাম করতে হবে। আর এটার জন্য তাই হচ্ছে ওই খায়রুল হক সাহেব। এটাই হচ্ছে আমাদের প্রধান সমস্যা যে বিচার বিভাগ ধ্বংস হয়ে।
মির্জা ফখরুল, দুঃখ হয় আমার একটা দলের সাধারণ সম্পাদক তিনি জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন। দলটির সভানেত্রী শেখ হাসিনাও বলে থাকেন জিয়াউর রহমান নাকি যুদ্ধ করেননি। জিয়াউর রহমানের নাকি বাইরে মুক্তিযোদ্ধার পোশাক ছিল ভিতরে নাকি ছিল পাকিস্তান চর, ধিক্কার দেই আমি যারা জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কে অস্বীকার করে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।