যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিয়েছে, তারা তাইওয়ানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য সংলাপ শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিতর্কিত তাইপে সফরের পর এ ঘোষণা এলো। খবর বিবিসির।

যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়, বাণিজ্য সংলাপের প্রথম দফা ‘শরতের ‍শুরুতে’ হতে পারে।

বাণিজ্য সুবিধা, ডিজিটাল বাণিজ্য এবং দুর্নীতিবিরোধী মানদণ্ড নিয়ে আলোচনা হতে পারে তাইপে ও ওয়াশিংটনের মধ্যে।

ওয়াশিংটন ও তাইপেই জুন মাসে ২১ শতকের বাণিজ্যে মার্কিন-তাইওয়ান উদ্যোগের বিষয় উন্মোচন করেছিল। এখন উভয় পক্ষ বলছে, তারা এখন ‘আলোচনার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে’।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ সারাহ বিয়াঞ্চি বলেন, আমরা একটি উচ্চাভিলাষী সময়সূচী অনুসরণ করার পরিকল্পনা করছি… যা ২১ শতকের একটি ন্যায্য, আরও সমৃদ্ধ এবং স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে ২০২০ সালে প্রায় ১০৬ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে।

পেলোসির সফরের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া আয়োজনের পর এ ঘোষণা এলো। পেলোসির এ সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ছে।

‘এক চীন নীতির’ অধীনে চীনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু তাইওয়ানের সঙ্গে ‘শক্তিশালী অনানুষ্ঠানিক’ সম্পর্ক বজায় রাখে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে লাগাতার দ্বীপটিকে অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র, যেন তাইপে নিজেকে রক্ষা করতে পারে।

চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে। যাকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে অবশ্যই সংযুক্ত হতে হবে। তবে, ‍তাইওয়ান নিজেকে ভাবে স্বতন্ত্র হিসেবে।