তজুমদ্দিনের সড়কগুলোর বেহাল দশা: জনদূর্ভোগ চরমে
শরীফ আল-আমীন,তজুমদ্দিন, ৬ অক্টোবর, প্রথম বাংলা টুয়েন্টি ফোর ডটকম : দীর্ঘদিন পর্যন্ত মেরামত না করায় ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের বিভিন্ন সড়ক গুলোর পিচ উঠে খাদা খন্দকে পরিনত হওয়ায় যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে এসব খাদা খন্দকে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলে মারাক্তক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি দূর্ঘটনারও শিকার হচ্ছে যানবাহন গুলো। এছাড়া গত তিন মাস ধরে জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। এসময় পানির স্রোতে বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় চলাচলে নতুন করে দেখা দিয়েছে জনদূর্ভোগ ।
সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে,খাসের হাট-মুচি বাড়ির কোনা,খাসের হাট থেকে চাচড়া ইউনিয়ন পরিষদ হয়ে মোঙ্গল সিকদার, খাসের হাট থেকে বাংলাবাজার, তজুমদ্দিন থেকে চৌমুহনী, খাসের হাট থেকে গুরিন্দা বাজার, তজুমদ্দিন থেকে চৌমহনী কেয়ামূল্যাহ সড়কগুলোর বেহাল দশা। এসকল সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলাচল করছে। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন ভাঙ্গা স্থান দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় যানবাহন আটকে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে । বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কগুলোর ভাঙ্গা স্থানে পানি জমে একাকার হয়ে যায়। দেখলে মনে হবে কত বছরের পুরোনো জড়াজীর্ণ সড়ক।
খাসের হাট সংলগ্ম বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী লোকমান হোসেন সহ একাদিক গাড়ী চালকদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, খাসের হাট থেকে কুঞ্জের হাট সড়টির অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে খোয়া বেরিয়ে গেছে আবার কোন কোন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এ সড়কে চলাচলা করা যেমন ঝুকিপূর্ন তেমনি দীর্ঘ সময়ও লাগে। আবার কখনো মেশিনের গুরুত্বপূর্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে গত চার মাস ধরে জোয়ারের পানির তীব্র স্রোতে খাসের হাট -গুরিন্দা,তজুমদ্দিন – চৌমহনী, কেয়ামূল্যাহ, ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ম সহ বেশ কয়েকটি সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় প্রায় ১৫ টি গ্রামের লোকজন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অথচ এসব সড়কের ব্যাপারে মাথা ব্যাথা নেই কতৃপক্ষের।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী শফিকুল আহসান বলেন, মহাসেন ও জোয়ারের পানিতে সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক গুলোর ক্ষতির পরিমান নিরূপন সহ তালিকা প্রস্তুত করে জেলা নির্বাহী প্রৌশলীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।