তজুমদ্দিনের মেঘনায় ১৩ অক্টোবর থেকে ১১ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ

12/10/2013 6:45 pmViews: 7

শরীফ আল-আমীন,তজুমদ্দিন ॥ ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী কাল রবিবার ১৩ অক্টোবর থেকে ১১ দিন ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। সচেতনতার জন্য উপজেলা মৎস্য অফিস ও প্রসাশনের পক্ষ থেকে ব্যানার,পোষ্ঠার,লিপলেট,মাইকিং সহ ব্যাপক প্রচার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা গেছে, আগমীকাল ১৩ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর এই ১১ দিন ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম। ভরা এ মৌসুমে ঝাকে ঝাকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে উপকূলীয় লোনা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে । এ মা ইলিশ রক্ষার্থে সরকার ঘোষিত ৪টি পয়েন্টের অর্ন্তগত প্রায় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ। এর মধ্যে প্রজনন ক্ষেত্র হিসেবে রয়েছে তজুমদ্দিনের মেঘনার উত্তর তজুমদ্দিন হতে পশ্চিম সৈয়দ আওলীয়া পয়েন্ট পর্যন্ত। আইন অমান্য কারীদের সর্বনিন্ম ১ বছর হতে সবোর্চ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং সবোর্চ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে। আর এ আইন বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা থেকে নিয়োগকৃত একজন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে। পাশাপাশি তজুমদ্দিনের মেঘনায় মৎস্য অফিস,উপজেলা প্রশাসন,কোষ্ট গার্ড, ও পুলিশের সমন্বয়ে সার্বক্ষনিক ৩টি স্পেশাল টিম নদীতে টহলে থাকবে। এ উপলক্ষে গত কয়েকদিন পর্যন্ত তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইজ ঘেট,মহেশ খালী,চৌমহনী ঘাট সহ গুরুত্বপূর্ন বিভিন্ন মাছ ঘাট গুলোতে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথ সভায় উপস্থিত ছিলেন, তজুমদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন দুলাল, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান,থানা অফিসার ইনচার্জ সুলতান আহম্মেদ,মৎস্য অফিসার ফনিভুষন পাল, কোষ্টগার্ড কন্টিজেন্ট কমান্ডার কামাল হোসেন। উপজেলা মৎস্য অফিসার ফনিভূষন পাল বলেন, এসময়ে সাগর থেকে ইলিশ উপকূলীয় এলাকায় এসে ডিম ছাড়ে। তাই ভরা এ মৌসুমে ইলিশ মাছ যাতে নিবিঘেœ ডিম ছাড়তে পারে এজন্য ১১ দিন প্রজনন মৌসুম হিসেবে ইলিশ মাছ ধরা,পরিবহন,মজুত,বাজারজাতকরন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ। কেই যদি এ আইন অমান্য করে তাহলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া জেলেরা যাতে মেঘনায় মাছ ধরতে না পারে এ জন্য উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে আগামী ১১দিনের জন্য সকল নৌকা স্ব স্ব আডৎদারদের হেফাজতে রাখা ও সকল বরফ কল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন,মৎস্য সম্পদ রক্ষার্থে আইন অমান্যকারীদের মৎস্য সংরক্ষন আইন ১৯৫০ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি দেওয়া হবে। এবং যেসব নৌকা ও জাল জব্দ করা হবে। সে সকল জাল ধ্বংশ ও নৌকা নিলামে দেওয়া হবে।

Leave a Reply