তিনি আরো বলেন, দেখা গেছে ইতোমধ্যে আমাদের যে নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা সবাই জামিনে আছেন। যে সমস্ত মামলা সরকার অবৈধভাবে অন্যায়ভাবে দিয়েছে, তারপরও সেগুলো মামলার হাইকোর্ট ও জজকোর্ট থেকে জামিন নেওয়া হয়েছে। আব্দুস সালাম বলেন, সরকার গণতন্ত্রের কথা বলছে, রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে। আর এখন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপিকে কাবু করার জন্য, বিএনপিকে ঘরে ঢুকানোর জন্য, তারা বিএনপি নেতা, সংগঠককে বেছে বেছে, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করবে এটা হতে পারে না। এটার আমরা প্রতিবাদ করেছি।
তিনি বলেন, আমরা নির্বিঘ্নে ইফতার মাহফিলগুলো করতে চাই। এ ব্যাপারে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে যতটুকু পুলিশের সহযোগিতা দরকার। সেই সহযোগিতা আমরা চাই। কোথাও যাতে অন্যায়ভাবে কোন গ্রেপ্তার না হয়, সে ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা তার কাছ থেকে নিরপেক্ষ আচরণ আশা করি, সেটা তাকে বলেছি। ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, ডিএমপি কমিশনার সাহেব খুব আন্তরিকতার সহকারে বলেছেন, আপনারা আমাদের অবহিত করবেন। কোন সমস্যা হবে না। সেটা তিনি দেখবেন। গ্রেপ্তারের ব্যাপারেও বলেছেন, আমরা শুনেছি, জেনেছি। আমরা এ ব্যাপারে দেখব ভবিষ্যতে যেন এমন না হয়। সেটাও তিনি বলেছেন।
তিনি বলেন, সার্বিক ব্যাপারে আমরা সব তুলে ধরেছি। ডিএমপি কমিশনার আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এ বিষয়গুলো তিনি দেখবেন এবং দেখার ব্যবস্থা করবেন। বৈঠকে বিএনপির পাঁচ প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, দক্ষিণের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও উত্তরের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু।