ঢাকার প্রথম মসজিদ
এখানে বসবাসকালীন আরাকান আলীর মেয়ে বিনত বিবির আকস্মিক মৃত্যু হয়। এই মসজিদের পাশেই সমাধিস্থ করা হয় এবং পরবর্তীতে আরাকান আলীর মৃত্যু ঘটলে তাকেও এখানেই কবর দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিনত বিবির নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয়। মসজিদের দেয়ালে একটি কালো পাথরে এই ইতিহাস ফার্সি ভাষায় খোদাই করা আছে।৮৬১ হিজরিতে নারিন্দা রোডস্থ এ মসজিদটির প্রথম সংস্করণ করা হয় এবং ৮৬৬ হিজরিতে বিনত বিবি ও আরাকান আলীর সমাধিস্থলে একটি মাজার স্থাপন করা হয়। বাংলা ১৩৩৭ সালে এ মসজিদটির দ্বিতীয় সংস্করণ করা হয় এবং দ্বিতীয় গম্বুজটি স্থাপন করা হয়।প্রায় ২০০ বছর ধরে এলাকাবাসী একটি কমিটির মাধ্যমে এ মসজিদটির দেখাশোনা করে আসছেন। এলাকাবাসী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে বর্তমানে পুরোনো ভবন ঠিক রেখে নতুন তিন তলা মসজিদ ভবণ নির্মিত হয়েছে।এছাড়াও মসজিদ প্রাঙ্গণে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে ৭ তলা ভবণ ও প্রায় ৮৪ সদস্য বিশিষ্ট মেস এবং বয়স্ক ও শিশু শিক্ষা কোর্স পরিচালিত হচ্ছে যার সমুদয় অর্থ মসজিদ ভবণ সম্প্রসারণে ব্যবহার করা হচ্ছে।বিনত বিবি বড় মসজিদের খতিব মুফতি হেদায়াতুল্লাহ আজাদী জানান, বর্তমানে মসজিদটির মোট জায়গার পরিমাণ প্রায় ৭ কাঠা। নতুন মসজিদ ভবনটি ৭তলা ফাউন্ডেশন করা। মেস ও শিক্ষা কোর্সের সমুদয় অর্থ দিয়ে মসজিদ ভবণটি তিন তলা থেকে সপ্তম তলা পর্যন্ত নির্মিত করা হবে এবং এর পর বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়নের জন্য এখান থেকে সাহায্য করা হবে। তিনি আরও জানান পবিত্র রমযান উপলক্ষে প্রতি শুক্রবার তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকার প্রথম মসজিদের খতিব হিসেবে তার অনুভুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি টাইমস ওয়ার্ল্ডকে জানান “প্রথমদিকে এখানে নতুন আসার পর লোক মুখে যখন শুনেছি যে এটি ঢাকার প্রথম মসজিদ আমি বেশ অবাক হই। সবকিছু জানার পরে এখন আমি বেশ গর্ব বোধ করি এবং মসজিদটির উন্নয়নে আমি নিজেকে উৎসর্গ করতে চাই।
 
 

 বিশ্বের দরবারে ‘মসজিদের শহর’ হিসেবে সুপরিচিত ঢাকা; কিন্তু এ গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য এক দিনে গড়ে ওঠেনি। একটু পিছনের দিকে তাকালেই দেখা যাবে ১৮৩২ সালে ঢাকার তৎকালীন ম্যজিস্ট্রেট জর্জ হেনরি ওয়াল্টার এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন, সে সময় ঢাকায় মসজিদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫৩টি। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এক সময় তা পরিণত হয় অসংখ্য মসজিদের শহর রূপে।বর্তমানে এই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ সকল মসজিদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরান ঢাকায় অবস্থিত। পুরান ঢাকার ৬নং নারিন্দা রোডে এখনো গৌরবের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বপ্রথম মসজিদ হিসেবে পরিচিত নারিন্দা বিনত বিবির মসজিদটি।এটি ঢাকার সবচেয়ে পুরোনো স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর একটি; যা প্রায় ৬০০ বছর আগের। ১৪৫৬ খ্রিস্টব্দে ইসলাম খাঁর আগমনের প্রায় দেড়শ বছর আগে বাংলার সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের আমলে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি নির্মিত হয়।সে সময় পারস্য উপসাগরের আশেপাশের লোকজন প্রায়ই জলপথে এ অঞ্চলে বাণিজ্যে আসতেন। পুরান ঢাকার এ এলাকা (নারিন্দা-ধোলাইখাল) দিয়ে তখন বয়ে যেত বুড়িগঙ্গার একটি শাখা যা বুড়িগঙ্গা হয়ে শীতলক্ষ্যায় গিয়ে মিশত। আরাকান আলী নামক এক সওদাগর সে সময় এ এলাকায় বাণিজ্যের জন্য আসেন এবং এখানে বসবাস শুরু করেন। তিনিই নামাজ পড়ার সুবিধার্থে এখানে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।
বিশ্বের দরবারে ‘মসজিদের শহর’ হিসেবে সুপরিচিত ঢাকা; কিন্তু এ গৌরবোজ্জল ঐতিহ্য এক দিনে গড়ে ওঠেনি। একটু পিছনের দিকে তাকালেই দেখা যাবে ১৮৩২ সালে ঢাকার তৎকালীন ম্যজিস্ট্রেট জর্জ হেনরি ওয়াল্টার এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন, সে সময় ঢাকায় মসজিদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৫৩টি। ধীরে ধীরে এ সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং এক সময় তা পরিণত হয় অসংখ্য মসজিদের শহর রূপে।বর্তমানে এই সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে ধারণা করা হয়। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এ সকল মসজিদের মধ্যে বেশির ভাগই পুরান ঢাকায় অবস্থিত। পুরান ঢাকার ৬নং নারিন্দা রোডে এখনো গৌরবের সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ঢাকার সর্বপ্রথম মসজিদ হিসেবে পরিচিত নারিন্দা বিনত বিবির মসজিদটি।এটি ঢাকার সবচেয়ে পুরোনো স্থাপত্য নিদর্শনগুলোর একটি; যা প্রায় ৬০০ বছর আগের। ১৪৫৬ খ্রিস্টব্দে ইসলাম খাঁর আগমনের প্রায় দেড়শ বছর আগে বাংলার সুলতান নাসির উদ্দিন মাহমুদের আমলে ঐতিহ্যবাহী এই মসজিদটি নির্মিত হয়।সে সময় পারস্য উপসাগরের আশেপাশের লোকজন প্রায়ই জলপথে এ অঞ্চলে বাণিজ্যে আসতেন। পুরান ঢাকার এ এলাকা (নারিন্দা-ধোলাইখাল) দিয়ে তখন বয়ে যেত বুড়িগঙ্গার একটি শাখা যা বুড়িগঙ্গা হয়ে শীতলক্ষ্যায় গিয়ে মিশত। আরাকান আলী নামক এক সওদাগর সে সময় এ এলাকায় বাণিজ্যের জন্য আসেন এবং এখানে বসবাস শুরু করেন। তিনিই নামাজ পড়ার সুবিধার্থে এখানে মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।














