ডা. জাফরুল্লাহকে সতর্ক করে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে সর্তক করে আদালত অববমানান অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তার নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার আবেদনও গ্রহণ করেছে আদালত।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ভবিষ্যতে আদালত সম্পর্কে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে কঠোরভাবে সর্তক করে দেয়া হয় তাকে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালত অবমননার অভিযোগের বিষয়ে আদেশের দিন পিছিয়ে আজ মঙ্গলবার পুননির্ধারণ করা হয়েছিল। এর আগে গত ১০ আগস্ট উভয় পক্ষের শুনানি গ্রহণ শেষে ৩০ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পক্ষে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ ও তাপস কান্তি বল। আবেদনের পক্ষে ছিলেন খান মো: শামীম আজিজ।
এর আগে গত ৯ আগস্ট ডা: জাফরুল্লাহ বিচারকদের নিয়ে করা মন্তব্যের জন্য আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
গত ১২ জুলাই ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী বিরুদ্ধে আদালত অবমননার অভিযোগে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে নোটিশ জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
৬ জুলাই ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আদালত অবমাননা অভিযোগ দায়ের করেন- মনোরঞ্জন ঘোষাল, আলী আসগর, শেখ নজরুল ইসলাম এবং গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের আহবায়ক কামাল পাশা চৌধুরী ও কর্মী এফএম শাহীন। এতে বলা হয়, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী তার বক্তব্যে এমন কিছু কথা বলেছেন যা বড় ধরণের আদালত অবমাননার শামিল।
গত ১০ জুন ট্রাইব্যুনাল-২ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানকে সাজা প্রদানের রায়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়ায় ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টা আদালতে দাঁড়িয়ে থাকার দণ্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। আর জরিমানা সাত দিনের মধ্যে পরিশোধ না করলে ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলেও আদেশ দেন আদালত। আদেশের পর এক ঘণ্টা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থেকে সাজা খাটেন ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
এরপর ট্রাইব্যুনালের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে গত ২৮ জুলাই আদালত তার সাজা বাতিল করেন।
উল্লেখ্য, ডা: জাফরুল্লাহ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনালে এমএজি ওসমানীর ঘনিষ্ট সহচর ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে উচ্চ শিক্ষার জন্য লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। রণক্ষেত্রে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তিনি সমন্বয়েকের ভূমিকা পালন করেন। দেশের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ করে ওষুধনীতি প্রণয়নে তার বিশেষ অবদান রয়েছে।