ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে রিপাবলিকানদের সমর্থন কমছে
ট্রাম্পের আইনি লড়াইয়ে রিপাবলিকানদের সমর্থন কমছে
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী ২০ জানুয়ারির অভিষেককে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি হোয়াইট হাউসে তাঁর চিফ অব স্টাফ হিসেবে রন ক্লাইনের নাম ঘোষণা করেছেন।
জো বাইডনকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফোনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অভিনন্দন জানানো অব্যাহত রয়েছে। তবে এখনো এ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না তিনি। যদিও আর কিছুদিন পর এই দপ্তর পরিচালনা করবে বাইডেন প্রশাসন।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ট্রাম্পের আইনি ও রাজনীতির লড়াইয়ে নিজ দলের মধ্যে তাঁর প্রতি সমর্থন স্তিমিত হয়ে আসছে। বাইডেন প্রশাসনের অভিষেক প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পক্ষে ইতিমধ্যে মত দিয়েছেন অনেক রিপাবলিকান অনেক নেতা।
ভোটে ট্রাম্পের স্পষ্ট পরাজয়ের পর নিজ দলের সিংহভাগ নেতাই এখন নির্বাচনের ফল উল্টো দিকে চলে আসবে—এমনটি বিশ্বাস করেন না। সিনেটের বেশির ভাগ রিপাবলিকান সদস্যও মনে করেন, এখন থেকে দেশের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের ক্লাসিফায়েড ইন্টেলিজেন্স ব্রিফিং পাওয়া উচিত। অবশ্য রিপাবলিকান অনেক নেতা এখনো বাইডেনের বিজয়কে জনসমক্ষে স্বীকার করে নিচ্ছেন না।
আসলে রিপাবলিকান নেতারা ট্রাম্পকে আদালতে তাঁর অভিযোগ তুলে ধরার ন্যায্য সুযোগটুকু দিতে চান। তবে তারা এটাও মানেন, ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্যগুলোতে যে ব্যবধানে ট্রাম্প হেরেছেন, তাতে আদালতে মামলা চললেও এটা প্রায় অসম্ভব যে, ফলাফল আবার ট্রাম্পের পক্ষে চলে আসবে।
বাইডেনের সামনে কঠিন কাজ এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা।
সংক্রমণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ও বাইডেনের কোভিড টাস্কফোর্সের সদস্য মাইকেল ওস্টারহোম করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাঁর পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, জনগণ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে পর্যাপ্ত প্রণোদনা দিয়ে পুষিয়ে দিতে পারলে চার থেকে ছয় সপ্তাহের লকডাউনে যেতে পারব। আর এটি করতে পারলে এশিয়ার দেশগুলোর মত, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মত এখানেও সংক্রমণের সংখ্যা আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারব।