ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে, আসবেই তারা
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা : তাদের দেশে একান্নবর্তী পরিবার নেই, তারা তাই প্রথমে চেয়েছিল আমাদের একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেংগে দিতে; তারা সফল হয়েছে। তাদের ডিভোর্স ও পরকীয়ার হার বেশী, তারা চেয়েছে আমাদেরও তাই হোক, তারা সফল হয়েছে। তাদের লিভ টুগেদার বেশী এবং ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে বিয়েতে কোন বাধা নেই, তারা চেয়েছে আমাদেরও তাই হোক, তারা সফল হয়েছে। তাদের দেশে খোলামেলা পোশাকের চল, তারা চেয়েছে আমাদেরও তাই হোক, তারা সফল হয়েছে। তাদের দেশে অবৈধ সন্তান অনেক, তারা চেয়েছে আমাদের দেশেও তাই হোক, তারা কিছুটা সফল হয়েছে; গতকাল রাতেই হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে এক মসজিদের জুতার বাক্সে এক জীবিত নবজাতক পাওয়া গেছে; অন্যরাতো ডাস্টবিনে ফেলে, এরা তাও মসজিদে রেখেছে ভালো কোন মানুষ দেখভাল করবে বলে!
.
এ সমস্ত সফলতাই এসেছে মিডিয়ার মাধ্যমে; মিডিয়াই শিখিয়েছে, কামাই থাকলে জামাই লাগে না, মিডিয়াই শিখিয়েছে, ‘হে নারী, বোলো না পরকীয়া করি, বলো স্বকীয়া করি’! শিখিয়েছে, শরীর আমার সিদ্ধান্ত আমার, আরো শিখিয়েছে ছেলেদেরকে মায়ের পিরিয়ডের ডেট জানতে হবে আর পিতাকে মেয়ের!
.
লোকেরা সেনা ক্যু নিয়ে আতংকে থাকে কিন্তু পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আতংক যে মিডিয়া ক্যু, সে নিয়ে ভাবনা কই? যারা ভাববে, তারাও মিডিয়ার স্রোতে গা ভাসিয়েছে; সারাদিন এটা সেটা নিয়ে ঝগড়াঝাটি করেই যাচ্ছে! এই মিডিয়া যতদিন নৈতিকতার কথা না বলবে, এই মিডিয়া যতদিন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরষ্কৃত না করবে, সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগিতার আসর না করবে, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের উপর প্রোগ্রাম না বানাবে, এই মিডিয়া যতদিন নারী-পুরুষ অবাধ মেলামেশার ক্ষতিকর দিক নিয়ে কথা না বলবে, যতদিন তা সুদ, ঘুষ, মদ, পরকীয়া, জুয়ার বিরুদ্ধে না বলবে, ততদিন পর্যন্ত গণমানুষের মুক্তি নেই। সমাজ বিনির্মানে, সুস্থ মিডিয়ার বিকল্প নেই; আপনাকে তাই মিডিয়া হাতে নিতেই হবে।
(২৭.০৯.২২)
সম্প্রতি তারা এসেছে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে, আসবেই; তাদের দেশে এভেইলেবল আছে, তারা চায়, আমাদের দেশেও হোক। কিন্তু তারা কখনোই চাইবে না, আমাদের দেশে বিজ্ঞানী হোক; আমাদের দেশের যাদের বিজ্ঞানী হবার সম্ভাবনা আছে, তাদেরকে টুশ করে একটা স্কলারশিপ দিয়ে নিয়ে গিয়ে নিজের দেশে কাজে লাগায়! আমাদের ভাগে থেকে যায় কিন্তু ফেসবুকার আর টিকটকার; যাদের কাজই হলো হুক্কাহুয়া করা!
লেখকঃ সোলাইমান কবির শাহীন