টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল সাকিবের কেকেআর
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেটবিহীন সাকিব আল হাসান। তবে আগের ম্যাচের মতো এদিনও করেছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। সুবিধে করতে পারেননি ব্যাট হাতে। তবে জিতেছে তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবকে তাদের মাঠে ৬ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবের কলকাতা। দারুণ বোলিংয়ে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল কলকাতার বোলাররা, সেটিকে কাজে লাগিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৮ রান তুলেছিল পাঞ্জাব। কলকাতা জিতেছে ১৭ বল বাকি রেখেই। এবার চতুর্থ ম্যাচে কলকাতার এটি তৃতীয় জয়। আর পাঞ্জাবের বিপক্ষে টানা ষষ্ঠ জয়!
এমনিতে দারুণ হিসেবি বোলিং করলেও প্রথম তিন ওভারেই একটি করে আলগা বল করেছিলেন সাকিব। তিনটিতেই হজম করতে হয়েছে বাউন্ডারি। শেষ ওভারে আর কোনো বাজে ডেলিভারি করেননি। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে দিয়েছেন ২৮ রান। ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন চার নম্বরে। দল তখন জয়ের কাছে। তবু জয় সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পারেননি সাকিব। একবার জীবন পেয়েও আউট হয়েছেন ১৫ বলে ১১ রান করে। জিততে অবশ্য সমস্যা হয়নি কলকাতার।
মোহালির ব্যাটিং উইকেটেও দারুণ বোলিং করেছে কলকাতার বোলাররা। পাঞ্জাবের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ২৬ রানের! দ্বিতীয় উইকেটে ওই জুটি গড়েন মুরালি বিজয় ও শন মার্শ। দলের সর্বোচ্চ দুই স্কোরারও এই দুজন। ২২ বলে ২৬ করেন বিজয়। চতুর্থ ওভারে উইকেটে গিয়ে শেষ পর্যন্ত এক প্রান্ত আগলে মার্শ অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৫৬ রানে।
এই দুজন ছাড়া দু অঙ্ক ছুঁতে পারেন কেবল দশে নামা কাইল অ্যাবট (৬ বলে ১২*)। পাঞ্জাব ১৩৮ পর্যন্ত যেতে পারে দুর্দান্ত শেষ ওভারের সৌজন্যে। আন্দ্রে রাসেলের করা ইনিংসের শেষ ওভারে মার্শ-অ্যাবট নেন ১৮ রান। রান তাড়ায় কলকাতা অনেকটা এগিয়ে যায় উদ্বোধনী জুটিতেই। ক্যারিয়ারের শুরুর সময়কে মনে করিয়ে দেওয়া ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন রবিন উথাপ্পা। গৌতম গম্ভীরকে সঙ্গে নিয়ে ৮২ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ৮.৩ ওভারেই।
২৮ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন উথাপ্পা, অধিনায়ক গম্ভীর করেন ৩৪। মনিশ পান্ডে (১২), সাকিবরা টিকতে পারেননি। সূর্যকুমার যাদব (১১*) ও ইউসুফ পাঠান (১২*) শেষ করেছেন বাকি কাজ। সাকিবদের পরের ম্যাচ আগামী রোববার, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের বিপক্ষে পুনেতে। ক্রিকইনফো।