টাইম স্কেল সিলেকশন গ্রেড বহালের আশ্বাস অর্থমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহালের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে আশ্বাস দিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। বিষয়টি আমরা বিবেচনা করব।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসক (প্রকৃচি) ও বিসিএস সমন্বয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকে প্রকৃচির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত অষ্টম বেতন কাঠামোতে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিল করার পর সরকারি কর্মচারীরা তা বহাল রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পে-স্কেলের সুপারিশ অনুযায়ী বাতিল করেছিলাম। এখন সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি বিবেচনা করব। টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিষয়ে আরও আলাপ-আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এ বিষয়ে একটি সন্তোষজনক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, বিষয়টি তিনি একা করেন না। বাইরের সবার সঙ্গে আলোচনা শেষ। এখন নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব।
তাহলে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বিষয়ে অনমনীয় অবস্থান থেকে সরকার সরে এসেছে- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোনো সময়ই আমরা অনমনীয় অবস্থানে ছিলাম না।
অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখার ইঙ্গিত মিলল বলে বৈঠকে অংশ নেয়াদের মধ্যে অনেকেই জানান।
প্রকৃচির আহ্বায়ক ও কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বৈঠকে বলেন, নতুন বেতনকাঠামো থেকে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সেটা সরকারের জন্য কোনো ভালো সিদ্ধান্ত হয়নি। বেতনও বাড়িয়ে দিলেন অথচ কেউ খুশি হলো না।
তিনি বলেন, প্রতি বছর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাড়ানোর মাধ্যমে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বাতিলের ক্ষতি পোষানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা সরকারি চাকরিজীবীদের মনে হতাশা সৃষ্টি করবে।