টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে জিতে সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই শুরুর একাদশে ছিলেন আনহেল ডি মারিয়া। কিন্তু বাঁ ঊরুর চোটে শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে পারেননি আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষেও একাদশে রাখা হয়নি এই জুভেন্টাসের ফরোয়ার্ডকে। আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি এদিন দল সাজান ৫-৩-২ ছকে। মিডফিল্ডার আলেহান্দ্রো গোমেসের জায়গায় নেওয়া হয় ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্টিনেজকে। তিন সেন্টার-ব্যাকের পাশে দুই উইংব্যাক হিসেবে নামেন নাহুয়েল মোলিনা ও মার্কোস আকুনিয়া। বোঝাই যাচ্ছিল, গোল খেতে চায় না আর্জেন্টিনা। শুরুর দিকে ওইভাবে গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দলই। তবে গোলরক্ষক আন্দ্রিস নেপোর্টের ভুলে ম্যাচের ৮ মিনিটেই একটা বিপদ হতে পারত নেদারল্যান্ডসের। বক্সে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেজ থাকার পরেও সতীর্থকে পাস বাড়ান নেপোর্ট। আলভারেজ বলটা নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় বেঁচে যায় ডাচরা। ডেনজেল ডামফ্রিস কয়েকবার চেষ্টা করেছেন আক্রমণে যেতে, তবে তাকে সামলে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডাররা। এর মধ্যেই ২২ মিনিটে মেসি একটা শট নিয়েছেন, তবে সেটা গোলমুখের ধারেকাছেও যায়নি। ৩৩ মিনিটে রদ্রিগো ডি পল শট নিয়েছেন। তবে এত দুর্বল শট ছিল সেটা, গোলরক্ষকের কষ্টই হয়নি সেটা ধরতে। মেসির জাদুকরী মুহূর্তটা আসে এরপরপরই। ডান দিক দিয়ে গড়ে ওঠা আক্রমণে বল নিয়ে এগিয়ে যান আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তারপর একটু বাঁ দিকে গিয়ে অসাধারণ এক পাস বাড়ান মোলিনার দিকে। দারুণ ফিনশিংয়ে বল জালে পাঠান মোলিনা। এটি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মোলিনার প্রথম গোল। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে মেসির ফ্রিকিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে গোল বঞ্চিত হয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৭২ মিনিটে বক্সের মধ্যে আকুনাকে ফেলে দেন ডামফ্রিস। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেই পেনাল্টি থেকেই গোল করে ব্যবধান ২-০ করেন লিওনেল মেসি। এই গোলের মাধ্যমে গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতাকে ধরে ফেললেন মেসি। বিশ্ব মঞ্চে বাতিস্তুতা ও মেসির গোল সমান ১০টি করে। ৬ গোল নিয়ে এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি। আসরে পাঁচ ম্যাচে তার গোল হলো ৪টি। শেষ ষোলোয় অস্ট্রেলিয়ার জালে বল পাঠিয়ে দিয়েগো ম্যারাডোনার ৮ গোল ছাড়িয়ে যান তিনি। এবার পাশে বসলেন বাতিস্তুতার।