জোরপূর্বক বিয়ে: ক্ষোভে জীবন দিলো স্কুলছাত্রী
জোরপূর্বক বিয়ে: ক্ষোভে জীবন দিলো স্কুলছাত্রী
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে বাল্যবিয়ের ক্ষোভে জীবন দিলো ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। গত রোববার ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, ৪ঠা অক্টোবর সকাল ৮টায় উপজেলার বিনাই গ্রামের সাইকেল মেকানিক আবু হোসেনের মেয়ে আশা আক্তার (১৭) বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। পরে বাবা মা বিষয়টি জানার পর স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করালে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১টায় সে মারা যায়। জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ আগে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অভিভাবকরা দুপচাচিয়া উপজেলার মর্তুজাপুর গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেন। এক সপ্তাহ পরে আশা আক্তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং পুনরায় স্বামীর বাড়িতে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে বাবা-মা, ভাই ও চাচা আশা আক্তারকে স্বামীর বাড়িতে পাঠানোর জন্য মারধর করলে সে বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।
মৃত আশা আক্তার বিনাই জসিম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
তার সহপাঠীরা জানায়, উপজেলার শাখারীবাঁক গ্রামের হযরত আলীর ছেলে সাঈদ আলতাফুন্নেছা কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্র আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তার দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি জানার পর পরিবারের লোকজন আশা আক্তারের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে দেয়। ফলে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে তাদের ধারণা। এ বিষয়ে বগুড়া শজিমেক ফাঁড়ির এসআই আব্দুল আজিজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষাক্ত ট্যাবলেট খেয়ে মৃত আশা আক্তারের ময়নাতদন্তের পর স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হবে। ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাটি বগুড়া সদর থানার আওতাধীন আইনগতভাবে এটি তারা দেখবে।