জেএসডি’র আলোচনা সভায় বক্তারা বৃহত্তর ঐক্যের আহবান

02/03/2022 8:38 pmViews: 5

সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য বৃহত্তর ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেএসডি আয়োজিত ‘২রা মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবসের ৫১তম বছর ও বাঙালির তৃতীয় জাগরণের মাইলফলক’ শীর্ষক এক স্মৃতিচারণমূলক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা।
আলোচনা সভায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি এক বছর পূর্ব থেকে বলছি যে দুটো বছরের জন্য হলেও অন্তত জাতীয় সরকার প্রয়োজন। এই দেশে কোনোক্রমে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। জাতীয় সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আওয়ামী লীগের। রাজনীতিতে উত্থান-পতন রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি সুষ্ঠু নির্বাচন দেন। আপনি খারাপ কাজ করেছেন বেশকিছু ভালো কাজও করেছেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই এই সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচন করবো না।

আমরা এই সরকারকে মানি না। এরা ডাকাত, রাতের আধারে ভোট ডাকাতি করে। এরা জালিম। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারের পদত্যাগের পর ঐক্যবদ্ধভাবে ন্যূনতম সময়ের মধ্যে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হবে। নির্বাচন কমিশন করে ফাইজলামি করে কোন লাভ হবে না। বর্তমান সরকারের ওপর জনগণের আস্থা নাই।
রব বলেন, এই দেশকে রক্ষা করতে হলে জাতীয় সরকার গঠন করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্বেও সাংবিধানিক অধিকারকে ধ্বংস করে দিল। এই দল ক্ষমতায় থাকলে কখনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই সরকারকে বিদায় করে জাতীয় সরকারের মাধ্যমে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য সবাই মিলে যে সিদ্ধান্ত নিবে, তাতে আমরা নির্বাচন করব।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার দেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা লুটেরাদের খাতায় নাম লিখিয়েছে। আমি মনে করি এই সরকার থাকতে পারবে না বেশি দিন। এটা কি গায়েবী আওয়াজ। না এটা কোন গায়েবী আওয়াজ নয়। আজ টিসিবির গাড়ির পেছনে মানুষ দৌঁড়াচ্ছে। এটাই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের নমুনা।

তিনি বলেন, সরকার সার্চ কমিটি করেছে নিজেদের সবচেয়ে বড় চামচা খুঁজে বের করার জন্য। একটা কথায় সবাইকে এক থাকতে হবে, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন নয়। আমরা যারা আছি সবাই অন্তর্তীকালীন একটা সরকারের দাবিতে নামতে হবে। কারণ অন্যকোনভাবে এ সরকারের পরিবর্তন হোক সেটা চাইনা। আমরা রাজনৈতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পরিবর্তন চাই।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, আপনারা সবাই বলেছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেন না। এই সরকার প্রশাসন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী দলীয়করণ করেছে। সুতরাং আপনারা যদি আবার ইনিয়ে বিনিয়ে নির্বাচনে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তাহলে আপনারা ঘৃণার পাত্র হবেন। আমরা একটা জায়গায় স্থির আছি। স্থির থাকতে চাই। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। এই সরকারকে ভোটার নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।
সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যদি জনগণ রাস্তায় না থাকে যদি আন্দোলন না হয়। তাহলে সভা-সেমিনার দিয়ে কোন কাজ হবে না। আন্দোলনে নামেন, আন্দোলন চলবে, আলাপ আলোচনা চলবে।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের (একাংশ) সভাপতি মোস্তফা মহসিন মন্টু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।

Leave a Reply